রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেনের ভয়াবহ সংকট
বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেনের ভয়াবহ সংকট
বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে একই সঙ্গে শয্যা এবং অক্সিজেনের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ৩৫০ টি শয্যার একটিও খালি নেই। ২৪টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা নেই একটিও। জনৈক আবু তালেব তাঁর করোনা-সংক্রমিত স্ত্রীকে এই হাসপাতালে নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন। এ রকম বিপন্ন বোধ করছেন অন্যান্যরাও কারণ শয্যা সংকট রয়েছে অন্যান্য হাসপাতালেও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা রয়েছে ৭০৫টি, রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭২৪ জন। আইসিইউ রয়েছে ২০টি। একটিও খালি নেই।
ঢাকার সবকটা হাসপাতালেই কমবেশি অক্সিজেন সংকট। জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা।এখন দিনে প্রয়োজন ২০০ টন অক্সিজেন। চাহিদার তুলনায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কম। সাধারণত ভারত থেকেই আসে অক্সিজেন। কোভিডের কারণে ভারত নিজেই ছিল দিশেহারা। তাই তারা এক পর্যায়ে রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় আবার রপ্তানি চালু হয়েছে। ঈদের আগের দিন ১৮০ টন অক্সিজেন এসেছিল জরুরিভিত্তিতে। শনিবার সকালে আরও ২০০ টন নিয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেস ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে। ২০২১-এর এপ্রিল মাসে এই বিশেষ ট্রেন সেবা চালু হয়। এই ট্রেনটির কাল সকালে পেট্রোপোল পৌঁছার কথা রয়েছে। আগের দিনে বাংলাদেশে ৭০ থেকে ৮০ টন মেডিকেল অক্সিজেনের প্রয়োজন হতো। এখন ২০০ থেকে ২২০ টনে পৌঁছেছে।জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, চলমান করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই চাহিদা ৩০০ টনে পৌঁছাবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ হাজার ৪৬ জনে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৭৮০ জন।
এদিকে ভিন্ন এক খবরে স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় পৌঁছেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিমানবন্দরে ঢাকাস্থ জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেনের কাছে এই টিকা হস্তান্তর করেন। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে আরও প্রায় ২৮ লাখ ডোজ টিকা ঢাকা আসবে।
ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশে পড়তে যাওয়া সব শিক্ষার্থী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। টিকা ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ কঠিন। ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এরই মধ্যেই আবেদন করেছেন।