শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ঈদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে- ভয়াবহ হতে পারে-বিশেষজ্ঞরা
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ঈদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে- ভয়াবহ হতে পারে-বিশেষজ্ঞরা
১৩১০ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঈদে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে- ভয়াবহ হতে পারে-বিশেষজ্ঞরা

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে৷ এটা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড৷ মারা গেছেন ১৬৩ জন৷ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটা কেউ বলতে পারছেন না। এই অবস্থায় আগামী ঈদুল আজহায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন মঙ্গলবার জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘এখন যা পরিস্থিতি তা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে ঈদের সময়৷ গরুর হাট ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঈদের পর গ্রাম থেকে শহরে আরো করোনা আসবে৷ আর ঈদের আগে যাবে শহর থেকে৷ শহরে ছাড়িয়ে করোনা এখন গ্রামে দাপট দেখাচ্ছে৷’

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এই লকডাউনে কতটা সংক্রমণ কমেছে তা ১৪ জুলাইয়ের পর বোঝা যাবে৷ আর মৃত্যু কমছে কি না তা বুঝতে ১৪ জুলাইর পর আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে৷ আশা করি কিছুটা সুফল পাওয়া যাবে৷ তবে আরও বেশি সুফল পেতে হলে চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোরভাবে করতে হবে৷’

তিনি মনে করেন, ঈদের সময় তাই কোনো ছাড় দেয়া যাবে না৷ সেটা হলে এখনকার লকডাউনের কোনো ফলই স্থায়ী হবে না৷ সেটা করতে হলে গরিব মানুষকে খাদ্য আর অর্থ সহায়তা দিতে হবে৷ তা না হলে তাদের ঘরে আটকে রাখা যাবে না৷

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘৫০ ভাগ বলা হলেও বাস্তবে মোট আক্রান্তের ৭০ ভাগ এখন গ্রামে৷ শুরুতে ঢাকা হটস্পট হলেও এখন প্রতিটি জেলা উপজেলাই হটস্পট৷ সীমান্তে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট আটকাতে না পারায় এই পরিস্থিতি হয়েছে৷ গ্রামে অনেক রোগীর তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ তারা হাসপাতালেও যাচ্ছেন না৷ টেস্টও করাচ্ছেন না৷ সর্দি কাশি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন৷ তাই এবারের লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো ঢাকায় যেন গ্রামের মানুষ আসতে না পারে৷ তবে তার ফল বুঝতে আরও সাত থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে৷’

তিনি আশা করেন সংক্রমণ কমবে৷ কিন্তু সেটা শতকরা পাঁচ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে হবে৷ তার মতে, ‘সেটা করতে হলে লকডাউন আরও অব্যাহত রাখতে হবে৷ ঈদকে বিবেচনা করলে চলবে না৷ যদি ঈদের সময় ঢিলেঢালা হয়ে যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে৷’

দেশে গড়ে এখন প্রতিদিন ১০ হাজার আক্রান্ত হন৷ কিন্তু তাদের মধ্যে হাসপাতালে যান পাঁচশর মতো৷ ডা. মোশতাক বলেন, ‘বাকি যারা বাড়িতে থাকেন তাদের ব্যাপারে মনিটরিং নেই৷ সেই কারণেও সংক্রমণ বাড়ছে৷’

তার মতে, মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না৷ এটা দেখা প্রয়োজন৷ আর গ্রামে অধিকাংশ মানুষই মাস্ক পরছেন না৷

এবারের ঈদে বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও। ইতিমধ্যে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবারের ঈদ যে যেখানে আছে সেখানেই করার ব্যাপারে জোর দেবে সরকার। কোরবানির পশুসহ ঈদের কেনাকাটা অনলাইনে সারার প্রতি উৎসাহিত করা হবে। এছাড়া ঈদে যেন অবাধে মানুষ যাতায়াত না করতে পারে সে ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে সরকার।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ঈদের সময় বিধিনিষেধ থাকবে কি না, সেটা পরিস্থিতি বলে দেবে। চলমান ১৪ দিনের বিধিনিষেধ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তবে কিছু বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকবে। কারণ, গত ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ বেড়েছিল। এবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হতে পারে যে যেখানে আছেন, সেখানে যেন ঈদ করেন।’

চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ২০ বা ২১ জুলাই দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে আগামী ১১ জুলাই বসবে চাঁদ দেখা কমিটি। তবে ঈদ ২১ জুলাই ধরে সরকারি ছুটি ২০-২২ জুলাই (মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার) তিন দিন ধরা আছে। এই হিসেবে সরকারি ছুটি থাকবে পাঁচ দিন। আর সেই ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে কি না, সেটি নিয়েও আলোচনা চলছে।

করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করায় গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। সোমবার বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই লকডাউনে অফিস-আদালত, গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার। মাঠে কাজ করছে মোবাইল কোর্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে গেলেই জেল বা জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তবে প্রশাসনের কড়াকড়ি সত্ত্বেও মানুষ কারণে-অকারণে বের হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জনসাধারণের মধ্যে যথেষ্ট গাফিলতি চোখে পড়ছে।



এ পাতার আরও খবর

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি
৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
নির্বাচন দেওয়াই আমাদের কাজ নয়, এটা বিপ্লবী সরকার নির্বাচন দেওয়াই আমাদের কাজ নয়, এটা বিপ্লবী সরকার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ: ট্রাইব্যুনালের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ: ট্রাইব্যুনালের
গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে : টিআইবি বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে : টিআইবি

আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর