সোমবার, ৫ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | শিরোনাম | সাবলিড » বিদেশি বাহিনী আফগানিস্তানে থাকতে পারবে না- তালেবান
বিদেশি বাহিনী আফগানিস্তানে থাকতে পারবে না- তালেবান
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নেটোর ঠিক করা আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সময়সীমার পরও যদি আফগানিস্তানে কোন বিদেশি সৈন্য রয়ে যায়, তবে তারা দখলদার বাহিনীতে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে, বিবিসিকে বলেছে তালেবান।
এমন সময়ে তালেবান এই কথা বলছে, যখন খবর বেরিয়েছে যে আমেরিকা আফগানিস্তানে এক হাজার সৈন্য রাখতে চায় মূলত কূটনৈতিক মিশন এবং কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সুরক্ষা দেবার জন্য।
দেশটিতে নেটোর কুড়ি বছরের সামরিক অভিযান সমাপ্তির অপেক্ষায়।
কিন্তু তালেবান নতুন নতুন এলাকা দখল করায় দেশটিতে সহিংসতা বাড়ছে।আফগান বাহিনী যখন এককভাবে দেশটির নিরাপত্তার হাল ধরতে যাচ্ছে তখন কাবুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলেন, সামরিকভাবে কাবুল দখল করা “তালিবানদের নীতি নয়”।
কিন্তু কাতারে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির অফিসে বসে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মি. শাহীন বলেন, প্রত্যাহার সম্পূর্ণরূপে শেষ হবার পর কাবুলে কোন বিদেশি সৈন্য এবং সামরিক কনট্রাক্টরের থাকা উচিৎ নয়।
“দোহা চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যদি কোন সৈন্য রেখে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব”, বিবিসিকে বলেন মি. শাহীন।আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাব এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আমাদের নেতৃত্ব”, তিনি বলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কূটনীতিবিদ, এনজিওকর্মী এবং বিদেশি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে না। ফলে তাদের সুরক্ষার জন্য কোন বাহিনী দরকার নেই।
“আমরা বিদেশি সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে। কূটনীতিবিদ, এনজিওকর্মী, এনজিও এবং দূতাবাসের বিরুদ্ধে নই। আমাদের জনগণের এদেরকে দরকার। আমরা তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াব না”, তিনি বলেন।
আফগানিস্তানের একসময়কার বৃহত্তম মার্কিন বিমান ঘাঁটি বাগরাম এয়ারফিল্ড থেকে গত সপ্তাহের সেনা প্রত্যাহারের ঘটনাকে “ঐতিহাসিক মুহূর্ত” হিসেবে বর্ণনা করেন মি. শাহীন।
তালেবানের সাথে এক চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো জোটের মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য প্রত্যাহারে একমত হয়েছে। বদলে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোতে আল-কায়েদা বা অন্য কোন চরমপন্থি গোষ্ঠীকে তৎপরতা চালাতে দেবে না।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করেছেন এ বছরের এগারোই সেপ্টেম্বর। দিনটি ৯/১১ হামলার কুড়িতম বর্ষপূর্তি।
কিন্তু খবর বেরিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো প্রত্যাহার সমাপ্ত হয়ে যাবে।
আফগান সরকারের পক্ষে দেশটির একজন এমপি বলেছেন, এই প্রত্যাহার দায়িত্বহীনতার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে।
রাজওয়ান মুরাদ নামের এই এমপি বিবিসিকে বলেন, সরকার সংলাপ এবং অস্ত্র বিরতির জন্য প্রস্তুত ছিল। এখন তালেবানকে প্রমাণ করতে হবে তারা শান্তি চায়।
কিন্তু সাম্প্রতিক কোন সহিংসতায় তালেবানের যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করেন মি. শাহীন
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বহু এলাকায় তালেবানদের দখলে এসেছে আলোচনার মাধ্যমে এবং লড়াইয়ে আফগান সৈন্যদের অনীহার ফলশ্রুতিতে।