শনিবার, ১২ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জি-সেভেন সম্মেলনে চীন-বিরোধী নতুন জোটের ডাক
জি-সেভেন সম্মেলনে চীন-বিরোধী নতুন জোটের ডাক
বিবিসি২৪নিউজ, রুপা শামীমা, লন্ডন থেকেঃ জি-সেভেন বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জানিয়েছেন-দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ শনিবার আলাপ-আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে চীন এবং বিশ্বে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলার উপায়।
হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলেন, অবকাঠামো এবং অন্যান্য কারিগরি সাহায্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে চীন যেভাবে তাদের প্রভাব বলয় বাড়াচ্ছে তার মোকাবেলায় বিকল্প অভিন্ন একটি কৌশল নিতে নতুন একটি পশ্চিমা জোট তৈরির প্রস্তাব দেবেন মি. বাইডেন।
গত তিন দশকে চীন তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় বিশ্বের একশটিরও বেশি দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে - যা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা, উদ্বিগ্ন। তাদের ভয়, গত কয়েকশ বছর ধরে উন্নয়নশীল বিশ্বে তাদের যে প্রভাব-প্রতিপত্তি রয়েছে তা হুমকিতে পড়ছে।
বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সম্পাদক জন সোপেল বলছেন, আমেরিকার বর্তমান সরকার তার মিত্রদের বলতে চাইছে যে, ‘পশ্চিমা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের শ্রেষ্ঠত্ব‘ বাকি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাকি বিশ্বকে বলতে হবে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে আখেরে তাদের বিপদে পড়তে হবে, চীন মানবাধিকারের তোয়াক্কা করেনা, সুস্থ প্রতিযোগিতার ধার ধারেনা।জন সোপেল বলছেন, আমেরিকান কর্মকর্তারা বলতে চাইছেন যে এটা চীনের সাথে টক্কর দেওয়ার কোনো বিষয় নয়, বরঞ্চ চীনের একটি ‘ইতিবাচক বিকল্প ‘বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
কিন্তু বিশ্বের অবকাঠামোর প্রয়োজন মেটাতে পশ্চিমা দেশগুলো কতদিনে কত অর্থ বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত - তা নিয়ে হোয়াইট হাউজ এখনও অস্পষ্ট। “তবে একটা বিষয় খুব পরিষ্কার যে আমেরিকা মনে করে চীনের প্রভাব মোকাবেলায় পশ্চিমা বিশ্বকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।“
প্রশ্ন হচ্ছে, চীনকে আটকাতে আমেরিকার সাথে জোট বাঁধতে এখন কতটা উৎসাহী হবে ইউরোপ?
সাম্প্রতিক সময়ে, শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিম ইস্যুতে আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে চীনের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন চীনা কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।কিন্তু এর বেশি আর কতদূর এগুতে সম্মত হবে ইউরোপ?