রবিবার, ১৬ মে ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | মিডিয়া ওয়াশ | শিরোনাম | সাবলিড » গাজায় এপি-আলজাজিরার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়া নিয়ে বাইডেনকে-নেতানিয়াহু
গাজায় এপি-আলজাজিরার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়া নিয়ে বাইডেনকে-নেতানিয়াহু
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মাত্র এক ঘণ্টার নোটিশে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজায় মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার কার্যালয়কে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
শনিবার বিমান হামলা চালিয়ে ভবনটি উড়িয়ে দেওয়ার পর ঘুম ভাঙে হোয়াইট হাউসের। টুইটারে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সর্বজনীন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
হোয়াইট হাউজের এমন প্রতিক্রিয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। ক্ষতি এড়াতে ইসরাইল এসব করছে বলে বাইডেনকে জানান নেতানিয়াহু।
আল-জাজিরার প্রকাশ, শনিবার নেতানিয়াহুর অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাইডেনকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজা টাওয়ারে সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা চালানোর আগে নিরীহ মানুষদের সরিয়ে নেয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। গাজায় হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নয় এমন মানুষদের ক্ষতি করছে না ইসরাইলির বাহিনী।
এসময় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা সমর্থন দেওয়ার জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান নেতানিয়াহু।
হামলার আগে ১ ঘণ্টা সময় দেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছিলেন এপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি প্রুইটভ
হামলার পরে প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, সংস্থাটির সবকর্মী ও ফ্রিল্যান্সারদের নিরাপদে ভবন থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এমন ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত ও আতঙ্কিত।অল্পের জন্য আমরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। সংবাদমাধ্যমের ব্যবহৃত ভবন ধ্বংস করে দেওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য ও বিরক্তিকর। এতে গাজায় এখন কী ঘটছে, তা নিয়ে বিশ্ববাসী খুব কমই জানতে পারবেন।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ভবনটি পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছি কিনা, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রে ভবনটি গুড়িয়ে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও নেটমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে।ছবিতে দেখা যায়, বোমা হামলার পর ভবনটি মাটিতে ভেঙে পড়েছে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভবনে ১১ বছর ধরে কাজ করা আলজাজিরার সাংবাদিক সাফাওয়াত আল খালুত বলেছেন, দুই সেকেন্ডের মধ্যেই ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আমি ১১ বছর ধরে সেখানে কাজ করছি। আমি অনেক ঘটনা ভবনটি থেকে কাভার করেছি, আমরা ব্যক্তিগত পেশাদার জীবন যাপন করেছি, দুই সেকেন্ডের মধ্যে এখন সবকিছুই হারিয়ে গেল।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে গত ১০ মে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গাজায় এ পর্যন্ত ৩৯ শিশুসহ ১৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন ৯৫০ জন।