শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » ভারতীয়’করোনা’ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করলে,দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে-সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
ভারতীয়’করোনা’ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করলে,দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে-সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় বাংলাদেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বলা হচ্ছে, লকডাউন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেলেও অতিসংক্রামক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করলে তখন পরিস্থিতি কোনভাবেই সামাল দেয়া যাবে না।
ভারতে দিনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশটিতে মধ্য মে’তে দৈনিক মৃত্যু ৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এক সভায় ভারতে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়।
ঐ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ভারতের পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় সীমান্ত বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ রাখা সম্ভব না হলে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
সীমান্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে লকডাউন কার্যকর থাকায় ভারতের সঙ্গে সব ধরণের বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে সীমান্ত বাণিজ্য যথারীতি চলছে। স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের নাগরিকরাও চলাচল করছেন।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বেগ রয়েছে। দৈনিক মৃত্যু প্রায় একশোর কাছাকাছি। বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে নয়া আতঙ্ক তৈরি করেছে। গত এক মাসে ঢাকা শিশু হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৬০ শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
সর্বশেষ এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৭ জন।
এমন অবস্থায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে দেড় কোটি ডোজ টিকার মূল্য পরিশোধ করা হলেও বাংলাদেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ৭০ লাখ ডোজ। বাকি টিকা কবে আসবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই মুহুর্তে ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। সময়মতো টিকা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
ওদিকে দৈনিক মৃত্যু প্রায় একশো’র কাছাকাছি থাকলেও চলমান লকডাউন শিথিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। রোববার থেকে দোকান ও শপিং মল খুলে দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৮শে এপ্রিলের পর গণপরিবহন খুলে দেয়া হবে বলে সরকারি কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন। এছাড়া সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট