বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন’ যে ভাবে শিথিল হয়েছে?
বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন’ যে ভাবে শিথিল হয়েছে?
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকাঃ ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কোথাও কোথাও যানজট হচ্ছে। কিন্তু দেশে তো এখনও ‘কঠোর লকডাউন’ চলছে? তাহলে রাস্তায় এত গাড়ির চাপ কেন? সরকার কী তাহলে কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে? নাকি মাঠ পর্যায়ে লকডাউন বাস্তায়নের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা শিথিলতা দেখাচ্ছে? সরকার-পুলিশ সবাই বলছে, লকডাউন শিথিল করা হয়নি। মানুষকে ঘরে বন্দি রাখা খুব কঠিন। তবে যারা বের হচ্ছেন তারা প্রয়োজনেই বাইরে যাচ্ছেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “এটা নন মেডিকেল লকডাউন। এই লকডাউনের সঙ্গে মেডিকেল কম্পনেন্ট নেই। ফলে এই লকডাউন কোন কাজে আসছে না। লকডাউন দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? মানুষকে ঘরে বন্দি করে রাখা? এটা দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। সে জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সেটা কী হচ্ছে? তা তো হচ্ছে না। এখন একজন যদি সংক্রমিত হন, তাকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। যে পরিবার পজেটিভ হয়নি, তাদের চলাচলে সমস্যা নেই। শুধু স্বাস্থ্যবিধি মানলেই হবে। আমরা বলেছিলাম, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটা করে পরীক্ষাকেন্দ্র রাখতে আর সেখানে পরীক্ষা করে যারা সংক্রমিত হয়েছেন তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে। শুধু লকডাউন দিয়ে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে তো কাজ হবে না। মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা করতে হবে।”
চেকপোস্টে কী পুলিশ শিথিলতা দেখাচ্ছে? নতুন কোন নির্দেশনা এসেছে কী-না জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “নতুন কোন নির্দেশনা আসেনি। পুলিশ কঠোরভাবেই লকডাউন বাস্তবায়ন করেছে। আমাদের চেকপোস্টগুলো সচল আছে। সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোন চেকপোস্টও কমানো হয়নি।”
গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউনের মেয়াদ ছিল। পরে সেটা আরো ৭দিন বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু পেশার মানুষ ছাড়া অন্যদের বাইরে বের হতে হলে পুলিশের কাছ থেকে মুভমেন্ট পাস নিতে হবে। যদিও অনেকেই অভিযোগ করেছেন, পুলিশের মুভমেন্ট পাস পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে ঢোকাই যাচ্ছে না। ফলে পাস ছাড়াই জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে।