শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

BBC24 News
শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার
১২৬১ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির ২য় ঢেউয়ে অনেকের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি এবং সুচিকিৎসা পেতে এক প্রকার হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তদের সেবাদানের ক্ষেত্রে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। সাধারণত রোগী সুস্থ্য হলে অথবা মৃত্যু বরণ করলেই যেহেতু কোনো একটি আইসিইউ বেড খালি হয় তাই রোগী বাড়তে থাকায় আইসিইইউ সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে । অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ই এপ্রিলের বুলেটিনের তথ্যে বলা হয়েছে সারাদেশে সর্বমোট ৮২৫টি আইসিইউ সজ্জার মধ্যে ৬৫২টিতে রোগী ভর্তি আছে এবং খালি আছে ১৭৩টি আইসিইউ বেড। যদিও আক্রান্তদের স্বজনরা অনেকেই বলছেন, ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর জন্য প্রয়োজন হলেই একটা আইসিইউ সজ্জা পাওয়া যে কারো জন্যই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ বা মধ্যবিত্ত, যারা সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেড খোঁজেন তাদের জন্য এ সংকট আরো প্রকট বলেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার ইব্রাহীম মজিদ নামের এক ব্যক্তি জানান, তিন দিন আগে তার মায়ের জন্য একটি আইসিইউ সজ্জা জোগাড় করতে সরকারি বেসরকারি প্রায় ৫০টি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হয়েছে। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায় প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সজ্জার ব্যবস্থা হয়। সাধারণ মানুষের জন্য এ এক বিরাট সংকট।আমার মা কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিন্তু অক্সিজেন লেভেল অনেক কমে যাওয়ায় তার আইসিইউ প্রয়োজন হয়। ডাক্তার এসে যখন বলে যে তার আইসিইউ প্রয়োজন কিন্তু ওখানে খালি নেই তখন বিভিন্ন জায়গায় কল দেয়া হয়। সরাসরি কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েও খোঁজ করা হয়, কিন্তু সাথে সাথে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না।” বলেন মি. মজিদ।ওই সময়ের অসহায়ত্ব তুলে ধরে মি. মজিদ বলেন, তখন পরিবারের সদস্যরা এবং বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ফোন করা হয়। প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তারা একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইইউ বেড পেয়ে সেখানে তার মা’কে ভর্তি করেন। “কোথাও ম্যানেজ হয় না, কোথায় পাওয়া যায় না। কিছু জায়গা আছে হ্যা আইসিইউ আছে কিন্তু সেন্ট্রাল অক্সিজেন বা সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর একটা পাই সেখানে ভর্তি করি। পরে কথা বলে জেনেছি অ্যাপ্রক্সিমেটলি ৫০টার মতো হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়েছিল।” বাংলাদেশে এখন সংক্রমণ হার ২০ শতাংশের ওপরে।প্রতিদিন ৫ হাজারের বেশি রোগি সনাক্ত হচ্ছে। অনেকের জন্যই হাসপাতালে হাই ফ্লো অক্সিজেন সুবিধা প্রয়োজন হচ্ছে কিন্তু পাওয়া সহজ নয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন সেবিকা রুমানা খাতুন বলেন “আমি যে কেবিনে ডিউটি করতেছি সেখানে ৩০টা বেড আছে। ৩০টা বেডেই হচ্ছে কন্টিনিউ রোগী থাকতেছে। এখন হচ্ছে কমতেছে না রোগী” তিনি আরো বলেন “এই বাড়তি রোগীর কারণে আমাদের নার্সদেরও বেশ চাপের মধ্য পড়তে হয়েছে। এটাও বাস্তবতা যে বেড খালি না থাকায় অনেক সময় নতুন রোগী আসলে ফিরিয়েও দেয়া হচ্ছে”। ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্ট আক্রান্তদের ফুসফুসে দ্রুত ক্ষতি করছে এরই মধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু এপ্রিল মাসের পনের দিনেই এক হাজারের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ ভাইরাসের নতুন কয়েকটি ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়ায় অনেক বেশি রোগী হাসপাতালে অক্সিজেন এমনকি আইসিইউ সুবিধার প্রয়োজন পড়ছে বলেও জানা যাচ্ছে। কোভিড ডেডিকেডেট একটি সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইশান জাহান বলেন “এখনকার অবস্থায় যেটা হচ্ছে। রোগীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ভাল আছে, কথা বলছে এরকম অবস্থায় হঠাৎ করে রোগী বলছে যে আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে”। “এমনক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের ট্রিটমেন্ট শুরু করার সুযোগও অনেক সময়ও অনেক রোগী দিচ্ছেন না। অল্প সময়ের মধ্যে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে মারাও যাচ্ছে” বলেন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ দিলেও প্রথম সপ্তাহে একেবারেই ঢিলেঢালাভাবে সেটি পালিত হয়েছে। ২য় দফায় সর্বাত্মক লকডাউনের শুরুতে কঠোরতা দেখা যাচ্ছে তবে পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ সেটি সাধারণ মানুষ এখনো অনুধাবন করতে পারছেন না। স্বাস্থ্যকর্মী ইশান জাহান বলছিলেন “আসলে এটা খুবই দুঃখজনক যে সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারছেন না যে পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক। যখন একজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যান তখন সেই ব্যক্তিটাই বুঝেন যে, হাসপাতালের একটা সিট পাওয়ার জন্য, একটা অক্সিজেনের সিলিন্ডারের জন্য, একটা আইসিইউ বেডের জন্য কী পরিমাণ হাহাকার চলছে”।



বাংলাদেশে আবারো রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা?
আগামী সপ্তাহে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি
জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য বিক্রি
ইয়েমেনে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা রয়েছে: কমিশন
আগামী বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও সমমনারা
র‌্যাব বাতিলের অপেক্ষা করছি : নূর খান
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
জীবনে সফল হতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়, আল-আজহার শিক্ষার্থীদের: ড. ইউনূস