বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন মানাতে মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল
বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন মানাতে মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে আট দিনের লকডাউন (বিধি-নিষেধ)। লকডাউনে প্রথম দিনে রাজধানীতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর প্রভাব।
নগরের ব্যস্ততম সড়কগুলো দেখলে মনে হবে রাজধানীজুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন। রাজধানীর মোড়গুলোতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
তারা রিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞেস করছেন কে কোথায় যাবেন। যথাযথ কারণ বলতে না পারলে গাড়ির আরোহী, চালক ও পথচারীদের গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে আবার শুরু হয়েছে বিধি-নিষেধের লকডাউন।
এই লকডাউনে শিল্প-কলকারখানা, ব্যাংক ও জরুরি সেবা ছাড়া অফিস-গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। চলাচলে বিধি-নিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছেন সিভিল প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই লকডাউনে (বিধিনিষেধ) রাস্তায় বেরোলেই পুলিশ জানতে চাইছে ‘মুভমেন্ট পাস’ সঙ্গে আছে কিনা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থামিয়ে জানতে চাইছে কি কারণে বা কি কাজে বের হয়েছি। যথাযথ কারণ বলতে পারলেই যাতায়াত করতে দিচ্ছে পুলিশ।
মো. ইমন নামে পোশাক কারখানার এক শ্রমিক রিকশায় করে যাচ্ছিলেন তার কর্মস্থলে। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করে পৌঁছাতে তার গতিরোধ করের দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ইমনকে থামিয়ে জানা গেলো, অফিসে যেতে হলে পায়ে হেঁটে যেতে হবে তাকে কিন্তু রিকশায় যাওয়া যাবে না। এছাড়াও আইডিকার্ডও দেখতে চেয়েছে, কোথায় কাজ করি তাও জানতে চেয়েছে। আর বলেছে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না। সাঈদ মিয়া নামে এক রিকশাচালক থাকেন মিরপুর এক নম্বর এলাকায়। তিনি রিকশায় প্যাসেঞ্জার নিয়ে চলে আসেন মিরপুর-১০ নম্বর গোলচক্করে। তাকে থামিয়ে জানা গেলো, লকডাউনের মধ্যে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার অপরাধে চাকা পাংচার করে দিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য। এক ঘণ্টা ধরে ওই রিকশাচালককে বসিয়ে রেখেছে। বলেছে একটু পরে ছেড়ে দেবে। কর্তব্যরত কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে লকডাউন মানাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। যথাযথ কারণ ছাড়া আমরা কাউকে যাতায়াত করতে দিচ্ছি না।