সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে-প্রশাসন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে-প্রশাসন
বিবিসি২৪নিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আর হরতালের জের ধরে টানা তিন দিন সহিংসতার পর চতুর্থ দিনে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে বলে দাবি করছে প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রাস্তায় সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর তেমন কিছু জানাননি তিনি।
এদিকে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৯ম আরো একজনের মারা যাওয়ার খবর থাকলেও তা নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি।
বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে ধারাবাহিক বিক্ষোভের পর রবিবার হরতাল পালন করে হেফাজতে ইসলাম। হরতালে দেশের নানা জায়গায় অবরোধ ও সংঘাতের ঘটনা ঘটলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে সবচেয়ে বেশি।
রবিবার হরতাল পালনের সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অন্তত দুই জন মারা যায়। স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সংঘর্ষ থেকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।
গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এক জন নিহত হয়। শনিবার বিক্ষোভে পুলিশ ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন বিক্ষোভকারী মারা যান। ওই দিন রাতের বেলা ৬ষ্ঠ একজনের মৃত্যুর খবর স্থানীয় সংবাদদাতারা জানালেও তরফ থেকে সেটা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, রবিবার হরতালের সমর্থকরা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হামলাকারীরা ভূমি অফিস, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মি. হৃদয় আরো জানাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা একটি যাত্রীবাহী ট্রেনেও হামলা চালায়, এতে কয়েকজন আহত হয়।
রোববার হেফাজতে ইসলামের নেতা আব্দুর রব ইউসূফী বলেন, রবিবার বিক্ষোভে যারা আহত ও নিহত হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করা হবে আজ(সোমবার)। আর আগামী শুক্রবার(০২রা এপ্রিল) আবারো তারা সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।
তারা বলছেন, টানা কয়েক দিনের বিক্ষোভে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হতাহতের প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয়া হয়েছে।