শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১
BBC24 News
শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঠাণ্ডা লড়াই শুরু?
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঠাণ্ডা লড়াই শুরু?
৯৬২ বার পঠিত
শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঠাণ্ডা লড়াই শুরু?

---বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে সেখানে দু’পক্ষই পরস্পরকে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করেছে।

আলাস্কায় এই বৈঠকে চীনা কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, তারা চীনের ওপর আক্রমণ চালাতে অন্য দেশগুলোকে উস্কানি দিচ্ছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা অভিযোগ করেছে চীন যা কিছুই করছে তা লোক-দেখানো।

এই দুই পরাশক্তির সম্পর্ক খুবই তিক্ত হয়ে পড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন যে ব্যবহার করছে, যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় সেরকম বিতর্কিত বিষয়গুলো তুলতে চায় বলে অঙ্গীকার করেছে।

আলাস্কার অ্যাংকোরেজ শহরে এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান। চীনের পক্ষে আলোচনায় যোগ দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

আলোচনার শুরুতেই উদ্বোধনী বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার ব্লিনকেন একদম সোজা-সাপ্টা ভাষায় বলেন, “চীনের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার গভীর উদ্বেগ এই আলোচনায় আনবে, বিশেষ করে শিনজিয়াং, হংকং, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা এবং মার্কিন মিত্রদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়গুলো।”

আর এর জবাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অভিযোগ করেন যে ওয়াশিংটন তার সামরিক পরাক্রম এবং অর্থনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে অন্যদেশকে দমিয়ে রাখতে।

তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার তথাকথিত ধারণার অপব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র স্বাভাবিক বাণিজ্যিক লেন-দেনে বিঘ্ন তৈরি করছে এবং অন্যকিছু দেশকে উস্কানি দিচ্ছে চীনের ওপর হামলা করার জন্য।”

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকারের অবস্থা এখন একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের বধ করা হচ্ছে।

গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের কর্মকর্তাদের এই উত্তপ্ত বাদানুবাদ চলেছে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-আশারের ভাষায় এটি “অস্বাভাবিক রকমের এক অ-কূটনৈতিক বিবাদ।” আর এটি ঘটেছে এমন এক বৈঠকে যেখানে কিনা এক নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনের আমলে দুপক্ষের সম্পর্ক নতুন করে ঝালাই করার কথা।

নতুন শীতল যুদ্ধ?
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না বহু বছর ধরে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই সম্পর্ক আরও বাজে দিকে মোড় নিচ্ছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান তার বর্তমান দায়িত্ব পাওয়ার আগে ফরেন এফেয়ার্স ম্যাগাজিনে কুর্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে মিলে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। মিস্টার ক্যাম্পবেল এখন জো বাইডেনের এশিয়া বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা। এই নিবন্ধে তারা বলেছিলেন, “চীনের সঙ্গে মিলে-মিশে কাজ করার যে নীতি যুক্তরাষ্ট্র এতদিন অনুসরণ করেছে, তার অনানুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘনিয়ে এসেছে।”

চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এখন এক নতুন “শীতল যুদ্ধ” বলে বর্ণনা করা হচ্ছে প্রায়শই। কিন্তু আসলেই কি তাই?

বিবিসির কূটনৈতিক বিশ্লেষক জনাথান মার্কাস এই সম্পর্কের নানা দিক বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করেছেন, বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্কে যেভাবে গোটা বিশ্বে ছায়া ফেলেছিল, এখানেও তাই ঘটতে যাচ্ছে কিনা।

তিনি বলছেন, ওয়াশিংটন এবং বেইজিং এর সম্পর্ককে কীভাবে চিত্রিত করা হবে, সেটার অনেক গুরুত্ব আছে।

“ঐতিহাসিক তুলনা অনেক সময় বিকল্প পথ বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে, পটভূমি এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বুঝতে সাহায্য করে। তবে অনেকে মনে করেন, এ থেকে উল্টো ফলও হতে পারে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঠিক একইভাবে ঘটে না। সেখানে আসলে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি দেখা যেতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে আছে ফাইভ-জির মতো প্রযুক্তি।

জনাথান মার্কাস লিখেছেন, “শীতল যুদ্ধের” মানে যদি হয় এমন এক আসুরিক লড়াই যেখানে দুটি বৈরি রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পরের বিরুদ্ধে পুরো জাতীয় শক্তি দিয়ে লড়ছে, তাহলে বলতে হয় চীন-মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে মার্কিন-সোভিয়েত সংঘাতের প্রতিধ্বনি আছে।

বাইডেন প্রশাসনের অন্তর্বর্তীকালীন পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কৌশল এ মাসের শুরুতে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আরও দৃঢ়প্রত্যয়ী চীনই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী যারা তাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত শক্তি দিয়ে একটি স্থিতিশীল এবং মুক্ত বিশ্ব-ব্যবস্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। কাজেই হোয়াইট হাউসে নতুন বাইডেন প্রশাসনের মন্ত্র হচ্ছে- যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই চীনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দাও, আর যেখানে সম্ভব সেখানে সহযোগিতা করো।

অন্যদিকে চীনও যেন একই ধরণের অবস্থান নিয়েছে। তারা একদিকে গঠনমূলক সম্পর্কের কথা বলছে। অন্যদিকে তাদের নিজেদের স্বার্থের বেলায় আরও শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। হংকং-এ গণতন্ত্র শক্ত-হাতে দমন করছে, সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে নির্লজ্জ ব্যবহার করছে, যাকে কিনা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন।

মার্কিন ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরতে কোন সুযোগই বেইজিং হাতছাড়া করে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন সমালোচনার সুযোগ বেইজিং লুফে নিয়েছিল। এরপর যখন ট্রাম্পের শাসনের শেষ বেলায় ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনে হামলা হলো, সেটাকেও বেইজিং নিজেদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যে শ্রেষ্ঠতর, তা তুলে ধরতে ব্যবহার করেছে।

জনাথান মার্কাস লিখেছেন, “তাই ওপর থেকে দেখতে গেল এই “শীতল যুদ্ধের” তকমা হয়তো যথার্থ মনে হতে পারে। কিন্তু একে শীতল যুদ্ধ বললে সেটা বাস্তবে কতটা কাজে লাগবে? সোভিয়েত-মার্কিন শীতল যুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তাদের মিত্র দেশগুলো বিশ্ব অর্থনীতি থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল, তাদের দেশগুলোতে রপ্তানির ওপর নানা রকমের নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু চীনের বেলায় কিন্তু ব্যতিক্রম। চীন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার এক অপরিহার্য অংশ। আর তাদের অর্থনীতি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে মার্কিন অর্থনীতির সঙ্গে।”

মার্কিন-সোভিয়েত শীতল যুদ্ধে প্রযুক্তির একটা ভূমিকা ছিল- যুদ্ধাস্ত্র এবং মহাকাশে অভিযান নিয়ে দুই পক্ষ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়েছিল। নতুন চীন-মার্কিন দ্বন্দ্বেও প্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। তবে এখানে যেসব প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে যা ভবিষ্যতে আমাদের সমাজের ভোল পাল্টে দেবে, যেমন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা ফাইভ-জি।

জনাথান মার্কাস বলছেন, এবারের বিশ্ব প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। গত শতকের শীতল যুদ্ধের সময় বিশ্ব দুটি শিবিরে বিভক্ত ছিল, তার বাইরে ছিল আবার জোটনিরপেক্ষ শিবির (তবে মার্কিনীরা সবসময় মনে করতো এই জোটনিরপেক্ষ দেশগুলো আসলে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি সহানুভূতিশীল)। কিন্তু এখন বিশ্ব অনেক বেশি মেরুতে বিভক্ত। তবে এখনকার বিশ্বে উদারনৈতিক ব্যবস্থা যেরকম হুমকির মুখে পড়েছে, সেটা আগে কখনো দেখা যায়নি। এর ফলে চীন তাদের নিজস্ব বিশ্ব-ভাবনা পুরো দুনিয়ার ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য অনেক বেশি জোর পাচ্ছে।

জনাথান মার্কাস বলছেন, চীন-মার্কিন বৈরিতাকে শীতল যুদ্ধের মডেলে দেখা বেশ বিপদজনক।

“শীতল যুদ্ধ ছিল এমন রাজনৈতিক লড়াই, যেখানে কোন পক্ষই অন্য পক্ষের বৈধতাকে স্বীকার করেনি। যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে যে প্রক্সি-যুদ্ধ হয়েছে, তাতে বিপুল প্রাণহানি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এক পক্ষই আসলে পরাজিত হয়েছে। সোভিয়েত ব্যবস্থা আসলে ভেসে গেছে ইতিহাসের স্রোতে। কাজেই অনেকের আশংকা হচ্ছে, চীন-মার্কিন বৈরিতাকে এরকম আদর্শগত বিচারে দেখলে হিসেবে ভুল করবে দু’পক্ষই। আর এর ফলে চীন হয়তো পরাজয় এড়াতে অনেক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে পারে।

অন্যদিকে, চীন আবার সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়। তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন বেশ ভালো অবস্থায়, তখনো তাদের জিডিপি ছিল মার্কিন অর্থনীতির তুলনায় মাত্র ৪০ শতাংশ। কিন্তু এক দশকের মধ্যেই চীনা অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতির সমান হয়ে যাবে। উনিশ শতক হতে আজ পর্যন্ত চীনের মতো কোন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। কাজেই চীন-মার্কিন সম্পর্ক এমন এক বিষয়, যেটিকে আগামী কয়েক দশক ধরে হয়তো মানিয়ে চলতে হবে।

এটি কোন দ্বিতীয় শীতল যুদ্ধ নয়, তার চেয়েও বিপদজনক কিছু। চীন এরই মধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী। যদিও এখনো তারা গ্লোবাল সুপার-পাওয়ার হয়ে উঠেনি, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যেসব বিষয়কে চীন জরুরী বলে মনে করে, সেরকম অনেক ক্ষেত্রে সামরিকভাবে তারা এরই মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য চীন এক বিরাট এবং জটিল সমস্যা। চীন নিয়ে তার পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্যে অনেক পরস্পরবিরোধী ব্যাপার আছে। একদিকে যখন জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা বা এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য চীনের সহযোগিতা দরকার, তখন ন্যায্য বাণিজ্যের নিয়মনীতি মেনে চলা বা গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের জন্য তাদের ওপর একই সঙ্গে চাপ প্রয়োগের কাজটি কীভাবে করা সম্ভব?চীনের উত্থান বা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা যে পড়তির দিকে- সেই কথাটি হয়তো বহু ব্যবহারে জীর্ণ, কিন্তু এর মধ্যে একটা সত্য আছে। তবে এটাই পূর্ণাঙ্গ চিত্র নয়।

ট্রাম্পের আমলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা থেকে কি যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তার গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবে? যুক্তরাষ্ট্র কি তার মিত্রদের আশ্বস্ত করতে পারবে যে বিশ্ব মঞ্চে তারা এখনো এক নির্ভরযোগ্য শক্তি? যুক্তরাষ্ট্র কি তার নিজস্ব শিক্ষা এবং প্রযুক্তির ভিত্তি দ্রুত সম্প্রসারিত করতে পারবে?

বেইজিং অনেক দিক থেকেই ওয়াশিংটনকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। কিন্তু চীনের স্বৈরতান্ত্রিক বিচ্যুতি কি তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি থামিয়ে দিতে পারে? যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে আসবে, জনসংখ্যার গড় বয়স বাড়বে, তখন কীভাবে দেশটি এর মোকাবেলা করবে? আর কমিউনিস্ট পার্টিই বা আর কতদিন মানুষের বিশ্বাস এবং সমর্থন ধরে রাখতে পারবে?

চীনের অনেক শক্তি আছে, আবার দুর্বলতাও কম নয়। যুক্তরাষ্ট্রেরও অনেক দুর্বলতা, কিন্তু সেগুলো কাটিয়ে উঠার মতো গতিশীলতা এবং নিজেকে পুনরাবিষ্কারের সক্ষমতা তাদের আছে।

কোভিড-১৯ মহামারী দেখিয়ে দিয়েছে যে, চীনে যা ঘটে, তা চীনে আটকে থাকে না। চীন এখন এমন এক বিশ্ব শক্তি, যা আমাদের সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই প্রস্তত হোন, এটি এক বন্ধুর যাত্রা। আর এই যাত্রা কেবল শুরু হচ্ছে মাত্র।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর