মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » মিয়ানমার দুশ’র মতো’ বিক্ষোভকারীকে আটকিয়ে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী- ছেড়ে দেয়ার আহবান জাতিসংঘের
মিয়ানমার দুশ’র মতো’ বিক্ষোভকারীকে আটকিয়ে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী- ছেড়ে দেয়ার আহবান জাতিসংঘের
বিবিসি২৪নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারে সোমবার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে আটকে পড়া বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেয়ার জন্য সামরিক বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইয়াঙ্গনের একটি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় দুশ’র মতো বিক্ষোভকারীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে তারা ওই ভবনে আটকা পড়ে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় বলছে, বিক্ষোভকারীদের ওই দলটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলো এবং তাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিৎ।
দেশটিতে পহেলা ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
এ পর্যন্ত অন্তত ৫৪ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।জাতিসংঘ বলছে আটকে পড়া বিক্ষোভকারী দলটি ইয়াঙ্গনের সনচুং এলাকার চার রাস্তা এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় আটকা পড়ে।
জেলার বাইরে থেকে কেউ এসেছে কি-না তা খুঁজতে পুলিশ ওই এলাকায় বাড়িঘরে তল্লাশি করছিলো।
স্থানীয় অধিবাসী ও স্থানীয় একটি নিউজ সার্ভিস ফেসবুকে জানিয়েছে যে অন্তত বিশ জনকে এ সময় আটক করা হয়।
এসময় সেখানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং ধারণা করা হচ্ছে যে এগুলো সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণ করতে এবং সহিংসতা বা গ্রেফতার ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বলে তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
তিনি বলেন, “আটকে পড়াদের অনেকেই নারী যারা আন্তর্জাতিক নারী দিবসের র্যালিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন”।
এদিকে ইয়াঙ্গনে কারফিউয়ের মধ্যেই বহু মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলো।
তাদেরকে “সনচুং এর ছাত্রদের ছেড়ে দাও” শ্লোগান দিতেও শোনা গেছে।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুঁড়েছে ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
সোমবারও দেশটিতে অন্তত তিনজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসনের অবসান এবং অং সান সুচিসহ আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।মিয়ানমার: কিছু মৌলিক তথ্য
• মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা সরকারের শাসনের অধীনে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ‘জাতিচ্যুত বা পারিয়া রাজ্য’ হিসেবে দেখা হতো
• ২০১০ সালে ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করে সামরিক বাহিনী, যার জেরে ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচন হয় এবং বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি’র নেতৃত্বে পরের বছর সরকার গঠিত হয়।
• ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে কথিত সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যাকে জাতিসংঘ “জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে” উল্লেখ করে।
• অং সান সু চি এবং তার সরকারকে পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী উৎখাত করে। এর আগে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছিল এনএলডি দল।