বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » শেখ হাসিনার নেতৃত্বে- বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশ, আমরা প্রশংসা ও গর্ব করি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে- বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশ, আমরা প্রশংসা ও গর্ব করি
বিবিসি২৪নিউজ, কুটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ভারত শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. এস জয়শঙ্কর। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জয়শঙ্কর বলেন, আপনাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বন্ধু হিসেবে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত উত্তরণের জন্য আমরা প্রশংসা ও গর্ব করি।
আমরা আপনাদের অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যের মাত্রা এখন এত বেশি যে, আমরা দেখিয়েছি এমন কোনো সমস্যা নেই যা আমরা আলোচনা করতে পারি না বা বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারি না।
এটি সন্তুষ্টির বিষয় যে, কোভিড মহামারি সত্ত্বেও, আমাদের মিথস্ক্রিয়া এবং পরামর্শ অব্যাহত ছিল। আমরা ডিসেম্বরে ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলন করেছি, সেপ্টেম্বর মাসে যৌথ পরামর্শক কমিশন, পররাষ্ট্র, জ্বালানি ও স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক, পুলিশ প্রধানদের বৈঠক, বিএসএফ-বিজিবি আলোচনা এবং প্রতিরক্ষা সফর করেছি।
আমাদের বাণিজ্য, পানিসম্পদ এবং নৌ পরিবহন সচিব পর্যায়ের বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। এসব বৈঠক উভয়পক্ষের প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে। ’
তিনি বলেন, এমনকী এই মহামারি আমাদের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করার সুযোগ দিয়েছে। ভারতে উৎপাদিত কোভিড ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বড় গ্রহীতা বাংলাদেশ। এছাড়াও বন্ধুদের মধ্যে আমাদের ভ্যাকসিনের সবচেয়ে বড় উপহারটিও (২ মিলিয়ন) এদেশের জন্য ছিল।
জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমগুলি সাধারণ পরামর্শ ও প্রস্তাবের ঊর্ধ্বে, তা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন। আমরা মাঠপর্যায়ে বাস্তব অগ্রগতি অর্জন করেছি। সাম্প্রতিক কয়েকটি উদাহরণ হলো- চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আগরতলায় পরীক্ষামূলকভাবে পণ্যবাহী ট্রেন পরিচালনা, ত্রিপুরাকে আপনাদের জাতীয় নৌপথে সংযুক্ত করার জন্য অভ্যন্তরীণ নৌপথে দু’টি নতুন প্রোটোকল রুট যুক্ত করা, ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ হস্তান্তর, কন্টেইনার ও পার্সেল ট্রেন চলাচল শুরু করা এবং জ্বালানিখাতে একটি যৌথ উদ্যোগ গঠন।