রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ভারতে তুষারধসে ১৫০ জন নিখোঁজ
ভারতে তুষারধসে ১৫০ জন নিখোঁজ
বিবিসি২৪নিউজ, অমিত ঘোষ, দিল্লি থেকেঃ হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামল উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায়। রবিবার সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের জেরে ধউলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা। ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক হতে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ১০০ থেকে ১৫০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঋষিগঙ্গা পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পে ঘটনার সময় ১৫০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা নিখোঁজ।সংবাদসংস্থা এএনআইকে উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যসচিব ওম প্রকাশ জানিয়েছেন, এঁদের অনেকেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন। তবে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকায় ঘটনাস্থলের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বাধ ভাঙা জল গঙ্গার দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। হতাহতের আশঙ্কা করে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ য়াওয়ার রাস্তায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ধসের কারণে ধউলিগঙ্গার দু’পাশের গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তপোবনের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহে ফাটল ধরায় ঋষিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমাণ।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অলকানন্দা নদীর তীরে যে বসতিগুলি রয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সেই জায়গাগুলিকেও খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভাগিরথী নদীর গতিপথ বন্ধ করা হয়েছে।
শুধু উত্তরাখণ্ড নয়, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গার দু’পারেও জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। ঘটনায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাধের লাগোয়া অঞ্চল খালি করে দেওয়া হয়েছে।