মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » আমেরিকা | আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি
বিবিসি২৪নিউজ, ফরিদা ইয়াসমিন, ওয়াশিংটন থেকেঃ মিয়ানমারের অং সান সু চিকে আটক ও সামরিক বাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এ মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতাদের আটক করার পর জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জালিয়াতি করে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
মিয়ানমারের এসব ঘটনা নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, “সেনাবাহিনীর কখনোই জনগণের ইচ্ছা বা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ফলাফলকে বাতিল করার চেষ্টা বা মুছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয়।”
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সু চিকে গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা অজানাই রয়ে গেছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সু চি ও তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানানোর লক্ষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মঙ্গলবার বৈঠকে বসার কথা আছে বলে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, অভ্যুত্থানটি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আক্রমণ। এ ঘটনায় অন্যান্য দেশ কীভাবে সাড়া দিচ্ছে, তার ওপর মার্কিন প্রশাসন নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত দশকে গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতির ভিত্তিতে বার্মার (মিয়ানমার) ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই অগ্রগতি উল্টে দেওয়ায় আমাদের নিষেধাজ্ঞা আইন ও অনুমোদনগুলোর আশু পর্যালোচনা প্রয়োজন।
“গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার জন্য এবং বার্মার গণতান্ত্রিক রূপান্তর থামিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে ওই অঞ্চল ও বিশ্বজুড়ে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করবো আমরা।”
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, বিশেষ করে চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের মধ্যে, মিত্রদের সঙ্গে আরও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। তার এই অবস্থান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুযায়ী পরিস্থিতি এককভাবে মোকাবেলার বিপরীত।ফলে মিয়ানমারের সংকট বাইডেনের এসব প্রতিশ্রুতির জন্য বড় ধরনের একটি পরীক্ষা হয়ে এসেছে বলে মন্তব্য রয়টার্সের।