শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে মিনিকেট নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব নেই, চাল আসলো কোথায় থেকে?
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে মিনিকেট নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব নেই, চাল আসলো কোথায় থেকে?
১০১১ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে মিনিকেট নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব নেই, চাল আসলো কোথায় থেকে?

---বিবিসি২৪নিউজ, বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাঃ বাংলাদেশে  ফসলের ক্ষেতে মিনিকেট নামে কোনো ধানের অস্তিত্ব যেখানে নেই, সেখানে বাজার সয়লাব মিনিকেট নামের চালে।

এই ধান কোত্থেকে আসে, কীভাবে মিনিকেট চাল হয়ে যায়, তা ভোক্তাদের অজানা থাকলেও গত দুই দশক ধরেই খাবার টেবিলে তা শোভা বাড়াচ্ছে। কারণ এথেকে চিকন ও সাদা ভাত হয়।

এই চাল নিয়ে এই অসাধু ও অস্বচ্ছ বাণিজ্যের ফলে একদিকে যেমন ভোক্তা প্রতারিত হচ্ছেন, অন্যদিকে অতিমাত্রায় ছাঁটাইয়ের ফলে চালের পুষ্টিমান কমে গিয়ে তা শরীরের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান আইনে ধানকে মিনিকেট করা ঠেকানোর কোনো সুযোগ না থাকায় ভোক্তাদের সচেতন হয়ে ওঠাই এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

নাম এল কীভাবে?
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা পরিচালক ড. কৃষ্ণ পদ হালদার বলেন, মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই।

তাহলে এই নাম কী করে এল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভারতের কৃষকরা এই নাম দিয়েছে। তবে গবেষণাগারে এই জাতের কী নাম দেওয়া হয়েছে, তা আমরা জানতে পারিনি বা জানার চেষ্টা করিনি।”

অনুসন্ধানে জানা যায়, মিনিকেট শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ ‘মিনি’ ও ‘কিট’ থেকে। ভারত সরকার নতুন উদ্ভাবিত কোনো ধানের বীজ ছোট বা মিনি প্যাকেটে কৃষকদের দেয়, তা থেকে কথ্য ভাষায় এই নাম হয়। পরে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে কিছু ধানের জাত বাংলাদেশে আসে।

ভারত সীমান্তের কুষ্টিয়া জেলার ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ ঢাকার বাজারে মিনিকেট চালের বাণিজ্যিক প্রচলন ঘটিয়েছেন বলে ব্যবসায়ী মহলে প্রচলিত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মিনিকেট ধান’ বাংলাদেশের ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে আসেনি। মিনিকেট এর জাতের নামও নয়। এই ধানের প্রকৃত নাম যে কী, তা এখনও জানি না।

“তবে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এই ধানের বীজ ও সারসহ একটি প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছিল। তখন এটাকে মিনিকিট বা মিনিকেট নামেই ডাকতে শুরু করে কৃষকরা।”

“১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ সালের দিকে ভারত থেকে যশোরে এই ধানের বিস্তার হয়। পরে পাশের জেলাগুলোতেও ছড়ায়,” বলেন তিনি।

কেটে হয় মিনিকেট
গত মওসুমে দেশে ধানের সর্বমোট ফলন ছিল ৩৮৬ লাখ টন; যার মধ্যে কৃষকের কাছে পরিচিত ‘মিনিকেট’ হিসেবে চাষ হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টন। অথচ বছরজুড়ে বাজারে কিংবা অটো রাইস মিলগুলোর সরবরাহ লাইনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই থাকছে মিনিকেট চাল।

ড. কৃষ্ণপদ বলেন, “মূলত মিনিকেট নামে প্রচলিত ধানের আবাদ বাংলাদেশে খুব বেশি একটা হয় না। ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধান থেকে চাল তৈরি করে সেটাই মিনিকেট হিসাবে বিক্রি করছে মিল মালিকরা।

“এখন এমন আধুনিক যন্ত্রপাতি এসেছে যে যে কোনো ধানকে কেটে যে কোনো আকৃতি দেওয়া হয়। ফলে ধান যাই হোক, মিনিকেট চাল তৈরিতে মিলগুলোর কোনো সমস্যা হয় না।”

দেশে মিনিকেটের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা রশিদ এগ্রোর প্রতিষ্ঠাতা রশিদ এ বিষয়ে বলেন, “আমরা যারা হাস্কার, আমরা প্রথমে ধানের উপর থেকে খোসা ছাঁটাই করি। তারপরে এটাকে হোয়াইটনারে দিয়ে সাদা চকচকে করি। বাজারের চাহিদার কারণে আমরা বাড়তি প্রযুক্তি ও শ্রম ব্যবহার করে চালকে আরও উজ্জ্বল করে থাকি।”

মিনিকেটের প্রকৃত উৎপাদন কত?
দেশের অন্যতম বৃহৎ আধুনিক চালকল রশিদ অটোমেটিক রাইস মিলসের মালিক আব্দুর রশিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার কারখানায় দৈনিক দেড় হাজার টন ধান ভাঙানোর কাজ চলে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই রয়েছে মিনিকেট চালের উৎপাদন।

সেই হিসাবে, বছরে ৩০০ কর্মদিবস হিসাব করলে অন্তত চার লাখ ৫০ হাজার টন ধান ভাঙানোর কাজ চলে রশিদ অটো রাইস মিলে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ মিনিকেট চাল হলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ ৩৭ হাজার টন। এর বাইরে পাইজাম, নাজিরশাইল, স্বর্ণ, বিআর আটাশ জাতের চালও উৎপাদন হয় ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের চালকলে।

কিন্তু কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বোরো মওসুমে ‘মিনিকেট’ ধানের উৎপাদন মাত্র ৫ লাখ ৯৯২ মেট্রিক টন। মিনিকেটের কাছাকাছি আকৃতির নাজিরশাইল ধানের উৎপাদন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৬২৪ মেট্রিক টন।

অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের মনিটরিং শাখার উপ পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, একই মওসুমে চিকন চালের ধান হিসাবে পরিচিত বিআর ২৮ ধান উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ টন, বিআর ২৯ উৎপাদন হয়েছে ৪৩ লাখ টন। একইভাবে ব্রি ৫০ উৎপাদন হয়েছে ৩ লাখ টন, ব্রি ৫৮ উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ টন।

বর্তমানে দেশে ১৯ হাজার ৭৩৪টি চালকল বা চাতাল রয়েছে। এদের মধ্যে যারা বৃহদাকারে চালের আন্তঃজেলা বাণিজ্য করে থাকে, তারা সবাই মিনিকেট ব্র্যান্ডের চাল উৎপাদন করে থাকে। এছাড়া মোজাম্মেল, বিশ্বাস, সাকি, ডলফিন, জোড়া কবুতরসহ আরও অসংখ্য ব্র্যান্ড সারা বছর বাজারে মিনিকেট চাল সরবরাহ করে থাকে।

বাজারে এখন বিআর আটাশ চালের ৫০ কেজির বস্তার মূল্য ২৩০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা। আর একই ওজনের মিনিকেট চালের বস্তা ২৯০০ টাকা। ব্যাপক চাহিদার কারণে মিনিকেটের দাম সারা বছরই অন্যান্য চিকন চালের চেয়ে বস্তায় ৩০০/৪০০ টাকা এগিয়ে থাকে।
তাহলে কী অধিক লাভের আশায় মিনিকেট ধান ছাড়াও অন্যান্য জাতের ধান ভেঙে মিনিকেট চাল তৈরি করা হচ্ছে?

এর উত্তরে ব্যবসায়ী রশিদ বলেন, বৃহত্তর যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ এই অঞ্চলে বোরো মওসুমে ৮০ শতাংশ জমিতে ‘মিনিকেট’ ধান চাষ হয়।

“সারাদেশে আমাদের মিনিকেট চালের ব্যাপক চাহিদার কারণে আমরা কৃষকের কাছ থেকে মিনিকেট ধান সংগ্রহ করে তা দিয়েই চাল উৎপাদন করি। ২০১৫ সালের দিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি আমার মিলে ৩/৪ দিন অবস্থান করে বিষয়টি দেখেছে।”

তবে রশিদের এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত করছেন কুষ্টিয়ার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলার কৃষি কর্মকর্তা বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও যশোর জেলার কৃষি কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।

এই অঞ্চলে মিনিকেট নামে প্রচলতি ধানের চাষাবাদ নিয়ে তাদের ভাষ্য প্রায় একই ধরনের। ৫ থেকে ১০ শতাংশ জমিতে ওই ধান চাষ হয় বলে জানান তারা।

উত্তরবঙ্গের মিলগুলোতে ‘মিনিকেট’ ধানের কাছাকাছি মানের ও আকৃতির জিরাশাইল ধান থেকে মিনিকেট চাল করা হয় বলে দাবি করেন রশিদ।

তবে মিনিকেটের বাজার যখন একচেটিয়া হয়েছে, তখন অনেক মিল মোটা ধান কেটে মিনিকেটের নামে বিক্রি করছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

“এধরনের অসাধু ব্যবসায়ী কম-বেশি সব জায়গাতেই রয়েছে। আমি এটা অস্বীকার করব না। এতে করে ক্রেতারা একটু প্রতারণা শিকার হয়ে থাকেন। অনেকে হয়ত প্রতি বস্তায় ৫০/৬০ টাকা কমে পেয়ে এই কাটছাঁট করা চালগুলো কিনে থাকেন। কিন্তু মানের দিক থেকে এটা অনেক ডাউন।”

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রশিদের সঙ্গে আবার দ্বিমত করেছেন এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরবঙ্গের চাল ব্যবসায়ী লায়েক আলী।

জয়পুরহাটের এই চালকল মালিক বলেন, “যে ধান থেকে মিনিকেট চাল হয়, তাকে কোনো এলাকায় মিনিকেট আবার উত্তরবঙ্গে বলে জিরাশাইল। মূলত জিরাশাইল ধান থেকেই মিনিকেট চাল তৈরি করা হয়। উত্তরবঙ্গে জেলাগুলোতে এর ব্যাপক আবাদ রয়েছে।
“কুষ্টিয়ার যে ব্যবসায়ী বলেছেন উত্তরবঙ্গে মিনিকেট আবাদ হয় না, অন্য জেলার আবাদ সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকার কারণে তিনি কথাটি বলেছেন।”

লায়েক বলেন, “উত্তরে দিনাজপুর থেকে শুরু করে নওগাঁ, বগুড়া, আর দক্ষিণে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর সর্বত্র এই মিনিকেট ধান জিরাশাইল নামে আবাদ হচ্ছে। অন্যান্য ধানের তুলনায় এই ধানের ফলন ভালো, বাজার মূল্য বেশি।”

পুষ্টিগুণ কমে যায়?

যশোর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ অঞ্চলে সরকারি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কাজ করা একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শুধু যে মোটা ধান মেশিনে ঘষে চিকন করা হচ্ছে, তা নয়, বরং মিনিকেট হিসাবে পরিচিতি পাওয়া ধানগুলোকেও উজ্জ্বল ও সুন্দর করার জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘষে চিকন করা হচ্ছে। আমি নিজে পৃথক পরীক্ষা চালিয়ে বিষয়টি দেখেছি।”

ধানের খোসা ছাড়ানোর পর বেশি ঘষে কমিয়ে ফেলা চাল খেলে তাতে ক্ষতিকর হয় কি না, সে প্রশ্ন করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসক তাসনিম জারার কাছে।

তিনি বলেন, “মিলগুলোতে অধিক পরিমাণে ঘষে ফেলার ফলে চালে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদন কমে যায়, সেখানে কার্বোহাইড্রেটের বড় একটা অংশ অবশিষ্ট থাকে। মেশিনে চালকে ঘষামাজা করে সরিয়ে দেওয়া ফাইবার কোলস্টেরল স্বল্পতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করতে পারে।

“গবেষণায় দেখা গেছে- অধিক পরিশোধিত চাল স্থূলতা, ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আর এভাবেই যেটা পুষ্টির একটা বড় জোগান হতে পারত, সেটা হয়ে যায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।”

ব্যবসায়ী রশিদ এ বিষয়ে বলেন, “আবরণসহ চাল তৈরির পদ্ধতিও আমাদের কাছে আছে। আপনি যদি মনে করেন ব্রাউন কালারের চালটা আমরা খাব বা নেব, তাহলে সেটাও আমরা দিতে পারব। আর ব্রাউন চালে পুষ্টি উপাদন বেশি থাকে, এটা একটা স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার।”

দায়িত্ব ভোক্তাদেরই
দেশের প্রধান খাবার চালের একটি ধরনে এই ফাঁকি নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারের মন্ত্রীরা কথা বললেও এনিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও ‘মিনিকেট’ সমস্যা নিয়ে আপাতত ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির ওপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ বলেন, বর্তমান আইন দিয়ে এই কাজটি প্রতিরোধ করার সুযোগ নেই।

প্যাকেটের গায়ে ‘মিনিকেট’ লিখে ভেতরে অন্য জাতের চাল সরবরাহ করলে তা বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর ৩২তম ধারা অনুযায়ী অপরাধ।

এ বিষয়ে মঞ্জুর বলেন, “এটা হতে পারে; কিন্তু বিষয়টি আগে আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে। তবে সেই আইনের প্রয়োগ ঘটানোর জন্য উদ্যোগটি কোন সংস্থা থেকে কীভাবে কতটুকু নেওয়া হবে, সেটা ঠিক করা প্রয়োজন।

“চাল ঘষে চিকন করলে হয়ত চালের পুষ্টিগুণ কমে, কিন্তু সেটা ভেজাল খাবার বলা যায় না। নিরাপদ খাদ্য আইনে আপাতত ভেজাল খাবারের বিরুদ্ধে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধরুন অধিক তেলে ভাজা মোগলাই খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু সেটা তো আর নিষিদ্ধ করা যায় না। ভোক্তাদেরকেই পরিস্থিতি বুঝে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।”

মিনিকেট চালের নামে ভোক্তা ঠকানোর বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে এনিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, “বাজারে প্রচুর মিনিকেট চাল দেখা গেলেও বাস্তবে দেশে তো মিনিকেট ধানের এতটা আবাদ হয় না। এসব অস্পষ্টতার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার জন্য গত ছয়মাস ধরে আমরা কাজ করছি।

“এছাড়া আমাদের মহাপরিচালক মহোদয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। আমরা আরও কিছুদিন সচেতন করে পরবর্তীতে শক্ত অবস্থানে যাবো। কারণ চাল কাটছাঁট করতে গিয়ে এর খাদ্যমান নষ্ট হয়; পাশাপাশি ভোক্তাকে ঠকানো হয়।”



এ পাতার আরও খবর

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি
৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
নির্বাচন দেওয়াই আমাদের কাজ নয়, এটা বিপ্লবী সরকার নির্বাচন দেওয়াই আমাদের কাজ নয়, এটা বিপ্লবী সরকার
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ: ট্রাইব্যুনালের শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ: ট্রাইব্যুনালের
গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে : টিআইবি বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের চলার পথে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি রয়েছে : টিআইবি

আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর