শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » বিজয়ের ৪৯ বছর এই দিনে পাই-স্বাধীন একটি ভূখণ্ড ও পতাকা
প্রথম পাতা » সম্পাদকীয় » বিজয়ের ৪৯ বছর এই দিনে পাই-স্বাধীন একটি ভূখণ্ড ও পতাকা
১৮২৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিজয়ের ৪৯ বছর এই দিনে পাই-স্বাধীন একটি ভূখণ্ড ও পতাকা

---বিবিসি২৪নিউজ, আরিফুর রহমানঃ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের গৌরবজনক ঘটনা বা অধ্যায় হল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। এই যুদ্ধের মধ্য দিয়েই বাঙালি পায় স্বাধীন একটি ভূখণ্ড ও পতাকা।

৯ মাসের সশস্ত্র এই লড়াইয়ে ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে দুই লাখ মা-বোনকে। অবকাঠামোসহ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার আগে ২৩ বছর পাকিস্তানের শাসক ও শোষকদের বিরুদ্ধে বাঙালিকে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে।

দীর্ঘ এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং সর্বশেষ সশস্ত্র লড়াইয়ের প্রাণ পুরুষ হলেন বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি বাঙালিকে এনে দেন স্বাধীনতা।

সেই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় দিন আজ। ৪৯ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা মাতৃভূমি বাংলাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে আরও প্রত্যয়ী হয়ে ওঠে। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষিপ্রতায় প্রতিদিন কোণঠাসা হতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনী। নভেম্বরের শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক সেনাদের সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।

সীমান্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করলে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ভারতীয় মিত্রবাহিনী। এভাবেই দেশব্যাপী যৌথ বাহিনীর প্রতিরোধে নাস্তানাবুদ হতে থাকে পাকিস্তানি দখলদার সেনা ও তাদের এদেশীয় দোসররা।

২ ডিসেম্বরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে ওই সময় প্রকাশিত দ্য স্টেটসম্যানের একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অগ্রযাত্রার কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রের চতুর্দশ খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এ প্রতিবেদন।

যুদ্ধের ময়দানে একের পর এক বীরত্বসূচক বিজয়ের কারণে সারা দেশ তখন বিজয়ের স্বপ্নে বিভোর। ডিসেম্বরের শুরুর দু’দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা বোমা হামলা চালান। এদিন তারা রামপুরা আর মালিবাগে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন অনেকটা অকার্যকর করতে সক্ষম হন।

২ ডিসেম্বর আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। দেশজুড়ে গেরিলা আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুদের পিছু হটতে বাধ্য করেছিলেন। দিনাজপুরে পরাজয় বরণ করে পিছু হটেছিল পাক হানাদার বাহিনী। এদিন মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ভারতীয় সেনাদল পঞ্চগড় মুক্ত করে। তারপর এগিয়ে যায় ঠাকুরগাঁওয়ের দিকে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হানাদারদের অবস্থানের ওপর গোলাবর্ষণ করা হয়। মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণে পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে থাকে।

এদিন চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী উত্তরে ফটিকছড়ি ও রাউজান থানা এবং দক্ষিণে আনোয়ারার অধিকাংশ স্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। মুক্তিবাহিনী ঘোড়াশালে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর চারদিক থেকে আক্রমণ করে ২৭ হানাদারকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। এখান থেকে বেশকিছু গোলাবারুদও উদ্ধার করে মুক্তিবাহিনী। এদিকে আখাউড়া, পঞ্চগড়, ভুরুঙ্গামারী, কমলাপুর, বনতারা, শমশেরনগর ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হনাদার বাহিনী পিছু হটে যায়।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের দিকে রাজাকার, আলবদর ও পাকবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। কিন্তু তখনও হানাদার বাহিনী বুঝতে পারেনি তাদের পতন আর খুব দূরে নয়।

অন্যদিকে বীর বাঙালির গেরিলা আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে পাক সেনার। যতই সময় গড়ায় গেরিলা আক্রমণ ততই প্রবল হতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা গেরিলা আক্রমণের মাধ্যমে পরাস্ত করতে থাকে ওদের। মুক্তিপাগল বাঙালির যুদ্ধ কৌশলের কারণে পাক হানাদারদের রাতে চলাফেরাও কঠিন হয়ে পড়ে।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর