রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম | সাবলিড » চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুট
চুয়াডাঙ্গা সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুট
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় সোনালী ব্যাংক উথলী শাখায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা হানা দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে হেলমেট ও পিপিই পরে তিনজন গ্রাহক পরিচয়ে ব্যাংকে ঢুকে অস্ত্রের মুখে প্রহরী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে ক্যাশ কাউন্টার থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উথলী বিশেষ ক্যাম্পের সদস্য এবং জীবননগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশে অভিযান চালায়। এ ঘটনায় বিকেল চারটা পর্যন্ত কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বেলা সোয়া একটার দিকে হেলমেট ও পিপিই পরে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকেন তিনজন। প্রথমেই তাঁদের একজন এক প্রহরীর গলায় ধারালো চাকু ঠেকিয়ে ব্যাংকের দরজা বন্ধ করে দেন। বাকি দুজন অস্ত্রের মুখে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রহরী ও গ্রাহকদের জিম্মি করে একটি ঘরে বন্দী করে ফেলেন। ক্যাশ কাউন্টারে থাকা ৮ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা লুটে নেন তাঁরা।
বিজ্ঞাপন
এই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে ব্যাংকের ভল্ট খুলে দিতে বাধ্য করেন। তবে ওই সময় টাকা তুলতে একজন গ্রাহক ব্যাংকে এসে অস্ত্রধারীদের দেখে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় অস্ত্রধারীরা দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হয়ে যান। তাই ভল্টের কোনো টাকা লুট হয়নি।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মুনিম লিংকন প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অস্ত্রধারী তিনজন দুর্বৃত্ত একটি মোটরসাইকেলে করে উথলী যান। ব্যাংক লুট শেষে একই মোটরসাইকেলে করে আন্দুলবাড়িয়ার দিকে চলে যান।
চুয়াডাঙ্গার উথলীতে সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে
চুয়াডাঙ্গার উথলীতে সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, তিনজন প্রহরী ও দুজন গ্রাহককে খেলনা পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে দিনদুপুরে লুট করেছেন। ব্যাংকটি নিরিবিলি এলাকায় অবস্থিত এবং প্রহরীরা নিরস্ত্র হওয়ায় দুর্বৃত্তরা দুপুরের খাওয়ার বিরতির সময়কে কাজে লাগান। তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।