সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » করোনাভাইরাস টিকা ৯০% সফল হবে?
করোনাভাইরাস টিকা ৯০% সফল হবে?
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে কাজ করছে এমন দুটো কোম্পানি বলছে, এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে লোকজনকে রক্ষা করতে তাদের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেক বলছে, “বিজ্ঞান ও মানবতার জন্যে এটি অনেক বড় একটি দিন।”
এখনও পর্যন্ত ছটি দেশে ৪৩,৫০০ জনের শরীরে এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এতে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু দেখা যায়নি।
কোম্পানি দুটো বলছে, এ মাসের শেষ নাগাদ জরুরি প্রয়োজনে তারা এই টিকা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
বর্তমান মহামারি পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি টিকার ব্যবহারকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পন্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সারা বিশ্বে বেশ কিছু টিকা তৈরির কাজ চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
তার মধ্যে এই প্রথম এই টিকাটির এরকম সাফল্যের কথা জানা গেল।
এই টিকাটির ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন ধরনের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য ভাইরাসটির জেনেটিক কোড শরীরে ইনজেক্ট করা হয়।
আগের পরীক্ষাগুলোতে দেখা গেছে টিকা দেওয়ার ফলে শরীরে এন্টিবডি এবং রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার আরো একটি অংশ যা টি সেল নামে পরিচিত সেটিও তৈরি হয়।
তিন সপ্তাহ ব্যবধানে এই টিকার দুটো ডোজ দিতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্কে এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সাত দিন পর ভাইরাসটি প্রতিরোধে মানবদেহে ৯০ শতাংশ সক্ষমতা তৈরি হয়েছেফাইজার বলছে, তারা আশা করছে এবছরের শেষ নাগাদ তার পাঁচ কোটি টিকা সরবরাহ করতে পারবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ তারা তৈরি করতে পারবে ১৩০ কোটি টিকা।
তবে এই টিকাটি সংরক্ষণের জন্য বড় ধরনের একটি সমস্যা আছে আর সেটি হলো এটি মায়নাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
ফাইজারের চেয়ারম্যান ড. আলবার্ট বোরলা বলেছেন, এটি একটি বড় ধরনের অগ্রগতি। আমরা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এই টিকা পৌঁছে দেয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সঙ্কটের সমাধানের জন্য করোনাভাইরাসের টিকাটি খুব প্রয়োজন।”
বায়োএনটেকের একজন প্রতিষ্ঠাতা উগর সাহিন এই টিকা পরীক্ষার ফলাফলকে “মাইলফলক” ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
মনে রাখতে হবে এই টিকার বিষয়ে যেসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সেটা চূড়ান্ত বিশ্লেষণ নয়। এনিয়ে গবেষণা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এই খবরে ইউরোপের শেয়ার বাজার এবং ফাইজারের শেয়ার দরে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। লন্ডন এবং ফ্রাঙ্কফুর্টের শেয়ার বাজারে পাঁচ শতাংশের বেশি দর বেড়েছে। প্যারিসের শেয়ার বাজার উঠে গেছে সাত শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেন, তার ভাষায়, যে মেধাবী নারী-পুরুষরা এই টিকা উদ্ভাবনে সাহায্য করেছেন, তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।