রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন আসলেও সবাইকে দেয়া যাবেনা-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন আসলেও সবাইকে দেয়া যাবেনা-স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে কয়েকদিনের মধ্যেই ক্যাটাগরি ঠিক করা হবে। তিনি বলেন, কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতেও অবগত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই সরকারি সেবা নিতে মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারণ ভ্যাকসিন এলেও তো সবাইকে রাতারাতি দিতে পারবো না। তাই নিয়ম মানতে হবে। খুব দ্রুতই করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়তে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
’
রোববার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) সম্পর্কে অংশীজনদের অবহিতকরণ’ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাবেন ফ্রন্ট লাইনাররা।
করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আগের সব প্রস্তুতি ধরে রেখে কাজ করা হচ্ছে। ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো যেভাবে করোনার জন্য কাজ করেছে তা অব্যাহত রাখা হবে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ চলমান থাকবে। পিপিই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে তা ভবিষ্যতেও মজুদ থাকবে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোকে প্রচারণা আরো বাড়াতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। অন্যরা কেবল ঘরে বসে থেকে করেছে সমালোচনা। শত সমালোচনার পরও দেশের স্বাস্থ্যখাত তার কাজ ঠিকভাবেই চালিয়ে গেছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কিনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তহবিল আছে। বাড়তি অর্থের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন এলেও মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে।
ভ্যাকসিন কি বিনামূল্যে দেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন বিনামূল্যে কিনা সেটা নির্ধারণ করা হয়নি। জনগণকে সেবা দিতে করোনায় ঠিক কত টাকা ব্যয় হয়েছে, সেটা নির্ধারণ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিনের বিষয়ে সব দেশের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে ফান্ড আছে। প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করবো।
কারা আগে ভ্যাকসিন পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই একবারে ভ্যাকসিন পাবে না। তাই গ্রুপ করে ভাগ করেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কারা ভ্যাকসিন পাবে, সে নিয়ে ক্যাটাগরি ঠিক করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনেই যারা ফ্রন্টলাইনে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ডাক্তার, সেনাবাহিনী, বয়স্ক মানুষ, সাংবাদিক, স্কুলশিক্ষকরা অগ্রাধিকারের তালিকায়। মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে অন্য স্বাস্থ্যসেবার মতো মিনিমাম চার্জ নির্ধারণ করা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, এবারের করোনায় সাধারণ মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। পরীক্ষার জন্য নামমাত্র ফি নির্ধারণ করার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ফ্রি করা হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য এই মহামারিকালীন সরকারিভাবে একজন সাধারণ রোগীর জন্য গড়ে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও একজন আইসিইউ ইউনিটে থাকা রোগীর জন্য ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। ফলে করোনাকালীন মহামারিতে দেশের সাধারণ মানুষ ভীষণ উপকৃত হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।