শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার ৪বছর আজ,ছিল দেশ-বিদেশী গভীর ষড়যন্ত্র!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার ৪বছর আজ,ছিল দেশ-বিদেশী গভীর ষড়যন্ত্র!
বিবিসি২৪নিউজ,এমডি জালাল: বাংলাদেশে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফেসবুকে মুসলমানদের পবিত্র কাবাঘরের অবমাননাকর ছবি পোস্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুর সাম্প্রদায়ের কয়েকটি গ্রামের মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫টি মন্দির ও শতাধিক বাড়িঘরে হামলার ঘটনার আজ চার বছর পূর্ণ হলো। এসব ঘটনায় আটটি মামলা হয়। ঘটনার ১৩ মাস পর একটি মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়। কিন্তু চার বছরেও বাকি সাতটি মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। আর দীর্ঘ এত সময়েও ফেসবুকের আপত্তিকর ওই পোস্টের রহস্যও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রসরাজ দাস নামে এক যুবকের ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ওই হামলা চালানো হয়। কিন্তু রসরাজ ওই পোস্ট দেননি। তাঁর ফেসবুক, মুঠোফোন ও মেমোরি কার্ডের ফরেনসিক প্রতিবেদনে তাঁর আইডি থেকে ওই পোস্ট দেওয়ার কোনো আলামত পায়নি পিবিআই। চার বছরেও ফেসবুকে কে পোস্ট দিয়েছিলেন তা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তারপরও সাত মামলায় পুলিশের তদন্ত শেষ হয়ে উঠেনি। নাসিনগরের ঘটনার সারাদেশে আলোচিত হয়ে উঠে।এঘটনা সরকারকে এক ধরণের অস্বস্তি ওু বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল। সাম্প্রদায়িক হামলা ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়টি তদন্তে দেশ-বিদেশী তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়। তদন্ত কমিটি সদস্যেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন-পর্যবেক্ষণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।এ বিষয়ে বিবিসি২৪নিউজ দেশ-বিদেশী তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। তদন্তের প্রতিবেদনটি তুুুলে ধরা হলো।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল-ইউরোপীয় ইউনিয়ন,যুক্তরাষ্ট্র, জেনেভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক পরামর্শক ও মানবাধিকার কাউন্সিল বিশেষ র্রাপোর্টিয়ার মিজ লিকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, কমিটির সদস্যেরা হলেন,জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাপতি জোয়াকুইন আলেক্সান্ডার মাজা মার্তেলি। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক পরামর্শক ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিডোটি-মানবাধিকার কাউন্সিল বিশেষ র্রাপোর্টিয়ার মিজ লিকে,ভারতের ইন্দিরা জয়সিংক, শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারপারসন রাধিকা কুমারাস্বামী।
কমিটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে কাজ করতে বলে।
তদন্তকারীরা বাংলাদেশের নিবর্তনমূলক গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ, ধর্ষণ এবং অন্যান্য যৌন নিপীড়ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুতি ও সম্পদ ধ্বংসের অভিযোগ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিকে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে পুরোপুরি সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে উৎসাহিত করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। গত অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ২২০ জনের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ গত মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রভাব বেশি। বিষয়টি স্পষ্ট নাসিরনগর-তাণ্ডবের সঙ্গে আওয়ামীলীগ এবং প্রশাসনের লোকজন সরাসরি জড়িত। নাসিরনগর-তাণ্ডব নিয়ে আন্দোলন না করার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের স্থানীয় মন্ত্রীর অনুসারীরা হুমকি দিয়েছে বলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ।
এছাড়া রসরাজ নামে যে জেলে বা মৎস্যজীবী ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছেন সে একজন অতি সাধারণ মানুষ এবং ফেসবুকে কোনো ছবি পোস্ট করার মতো কোনো দক্ষতাই তার নেই, এটা সরেজমিন তদন্তের ফলে উঠে এসেছে। এ হামলার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক এবং হিন্দু সম্পত্তি দখল। এর সঙ্গে শুধু স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকরাই জড়িত নয়, দলটির উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতা ও মন্ত্রীও জড়িত। ইহা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের হামলা,এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এই হামলা।এতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক পরামর্শক ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিডোটি-বিবিসি২৪নিউজকে বলেন,হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর ও মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ছিল রাজনৈতিক ভাবে সুপরিকল্পিত। হামলাকারীদের প্রশাসনিক ভাবে তাক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে হিন্দু সম্প্রদায় ধারাবাাহিক হামলা স্বীকার হয়েছে। আর সরকারকে রাজনৈতিক-হিংসাত্নক এই হামলাগুলি বন্ধ করতে হবে।এছাড়াও জেলা আয়ামীলীগের সঙ্গে স্থানীয় আয়ামীলীগের রাজনৈতিক দূরত্ব আছে। স্থানীয় মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ উঠে এসেছে। প্রশাসনের অবহেলা বার বার হামলা স্বীকার হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারকে সর্তক থাকতে হবে। অসহায় ও গরিব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর এ ধরনের বিভতস হামলা মানাবাধিকার গভীর লঙ্ঘন হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর ও মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ছিল সুপরি কল্পিত। একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা তৈরির জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রসাশন ও পুলিশ বাহিনীর দূরদর্শিতার অভাব-অবহেলা এ হামলার সুযোগ করে দিয়েছে। ঘটনার দিন সমাবেশের অনুমতি দিলেও প্রমাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রাখায় এ হামলা ত্বরান্বিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জেঠাগ্রাম হাফিজিয়া মাদরাসার মাওলানা নুর ইসলাম, দাত মন্ডল গ্রামের তাজ উদি্দন আহম্মেদ, ছাফরতলা গ্রামের সবুজ হাজি, গৌর মন্দির এলাকার সাবেক মেম্বার ওলী ও খরক পাড়া গ্রামের ফারুক মোল্লা, পশ্চিম পাড়ার আবেদ আলীর ছেলে রহিম সহ অনেকে চক্রান্তকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িতি বলে জানা গেছে। তখন কেন দুটি বিপরীতমুখী সংগঠন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশরে অনুমতি দেওয়া হলো? প্রতিবেদন ঘটনাস্থলসমূহ পরির্দশন করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদরে বক্তব্য পর্যালোচনা-তথ্যানুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি২৪নিউজকে বলেন,— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যারা ধর্মের নামে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের শাস্তি পেতে হবে। এর বিকল্প নেই। কোনো ধর্ম মানুষ হত্যা, হামলা, লুটপাটের কথা বলে না।
তিনি আরোও বলেন, হামলাকারী যারাই হোক তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি পেতে হবে।“বাংলাদেশ হলো অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি হৃদয়ে ধারণ করেন। এদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলেই আমরা এগিয়ে চলব।“আমাদের দেশে সংখ্যালঘু বলতে কেউ নেই।
তিনি বলেন, রামুর বিষয়ে সবাই দেখেছে। কাবা শরিফের ছবি বিকৃত করা হয়েছে। ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ লেখা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে । ৯১ দিনের অগ্নিকাণ্ড, বিদেশিদের হত্যা, বিভিন্ন ধর্মের গুরুদের হত্যা করে একটি গোষ্ঠী অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের আপামর জনতাকে ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন। তখন তারা ব্যর্থ হয়েছে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসি২৪নিউজকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘরবাড়ি-মন্দির পল্লীতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে । —দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং বাকিদের আইনের আওতা আনা হবে, যাতে ভবিষ্যতে বাংলার মাটিতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আইনমন্ত্রী বলেন,অপরাধী যেই হোক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে মৎস্য পশুসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক বিবিসি২৪নিউজকে বলেছিলেন, গত ৩০ অক্টোবর রোববার হামলার দিন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা থেকে ১৪টি ট্রাকে কারা লোক এনেছিল, বিষয়টি খুঁজে বের করুন। কারা এর খরচ দিয়েছে সেটাও খুঁজে বের করুন। হামলার নেপথ্য ব্যক্তিদের প্রশাসন খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা চায়, আমি যেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই, রাজনীতি থেকে সরে যাই, আমি যেন মরে যাই। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি কখনো এ আসন থেকে পাস করেনি। এই জন্য ‘দুষ্কৃতকারীরা চায় আমি মরে যাই।
—এ বিষয়ে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বিবিসি২৪নিউজকে বলেন, অপরাধীদরে আড়াল করত সামনে আনা হয়েছে জেলা আয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ। জেলা আওয়ামীলীগের সঙ্গে মন্ত্রী ছায়েদুল হক সাহেবের রাজনৈতক মতপার্থক্য থাকতে পারে। মন্ত্রী মহোদয় সঙ্গে আমার ব্যত্তিগত কোন বিরোধ নাই। জেলা আওয়ামীলীগের সঙ্গে তার কিছুটা রাজনৈতিক দূরত্ব আছে। সেটা গোপনীয় কোন বিষয়ও নয়। মন্ত্রী মহোদয় এবং জেলা আওয়ামীলীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। কোন কোন বিষয়ে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরত্তার প্রশ্নে আমর এক ও অভিন্ন। সুতরাং রাজনৈতিকমত পার্থক্যের ধোয়া তোল মূল অপরাধীদের আড়ালে চেষ্টা করবেন না। আমি স্পষ্ট করে বলি আমি বিগত ৪০বছরেও নাসিরনগরে যায়নি। ঘটনার পর আমি নাসিনগর গিয়েছি। কারন আমি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে আমার দায়িত্ব রয়েছে। এই ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মোটেই জড়িত নয়।
—আওয়ামী লীগের কোন কর্মী যদিও জড়িত হয়ে থাকে সেটায় দায় আওয়ামীলীগ নিবে কেন? ঘটনার সঙ্গে দল বা সংগঠনকে জড়িত করার অর্থ হচ্ছে অপরাধীদেরকে আড়াল করা। তা ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু পল্লীতে এই নেক্কারজনক হামলাটি তো দিনের বেলায় প্রকাশ্যে হযেছে। কোন কোন মিডিয়া ভিডিও ফোটেজ প্রকাশ করেছে। হামলার আগে লোকজন মিছিল করে এসেছে এবং সভা থেকে বের হয়ে মিছিল করে গিয়ে হামলা চালিয়েছে। সবই ঘটেছে প্রশাসনের নাকের ডগায় এবং স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠকের চোখের সামনে। এখানে অপরাধীদের চিহ্নিত করা কোন কঠিন কাজ নয়। তাহলে বিভ্রান্তিটা কোথায়? পবিত্র কাবা শরিফের আপত্তিকর ছবি প্রকাশের অপরাধে অভিযুক্ত রসরাজকে গ্রেফতার করার পরও কারা সভা সমাবেশের অনুমতি চাইল? কারা সভা সমাবেশ আয়োজন করল? অভিযুক্ত রসবারাকে গ্রেফতার করার পরও প্রশাসন কেন দুটি বিপরীতমুখী সংগঠন কে (একটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত অপরটি খাটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, তারাও পরস্পর ভিন্ন চিন্তার এবং বিপরীত মেরুর) সভা করার অনুমতি দিল? মাইকিংয়ে নানা আপত্তিকর স্লোগান দিযে সবশেষে সমাবেশ করে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলল? স্থানীয় প্রশাসন কি তা দেখেনি? এলাকার নেতাকর্মীরা তখন কোথায় ছিল? বিশাল সমাবেশে মঞ্চ তৈরি করে বক্তৃতা করছে। সমাবেশ শেষ করেই মিছিল কারীরা হামলা করেছে। এত সব অপকর্ম যারা করলো তারা কি হামলার জন্য দায়ী নয়। তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি না দিলে আগামী দিনেও সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতারা এ জাতীয় অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠবে।