বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » পরমাণু সমঝোতায় ইরানের স্বার্থ রক্ষা করা প্রয়োজন: ইইউ
পরমাণু সমঝোতায় ইরানের স্বার্থ রক্ষা করা প্রয়োজন: ইইউ
বিবিসি২৪নিউজ,ইইউ প্রতিনিধিঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় ত্রোইকা জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে-একথা অনস্বীকার্য।
কিন্তু আমেরিকা এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাবার পর এই চুক্তিটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে কিংবা তাদের দেওয়া অঙ্গীকারগুলো যথাযথ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইইউ’র ভূমিকা ছিল যথেষ্ট নেতিবাচক। বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্য প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ইনসটেক্সের কার্যক্রম শুরু করার ক্ষেত্রেও নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল গতকাল ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পরমাণু সমঝোতায় ইরানের স্বার্থ রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন: ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে ইউরোপীয় পক্ষগুলোর সামগ্রিক প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তিনি বলেন: ইরানের সঙ্গে করা সমঝোতা কেবল পারমাণবিক বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ওই সমঝোতার একদিকে রয়েছে পরমাণু ইস্যু অপরদিকে ইরানের অর্থনেতিক স্বার্থ। বোরেল বলেন ইরানের ওই স্বার্থ সুরক্ষা করা আমেরিকার একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ইইউ’র বাহ্যিক অ্যাকশন পরিষেবার আওতায় নিজেদের দেওয়া অঙ্গিকারগুলো পালনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন বোরেল।
বোরেল পার্লামেন্টে দেওয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন আমেরিকা যে ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার জন্য স্ন্যাপ-ব্যাক মেকানিজম কাজে লাগানোর কথা বলছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন আমেরিকার ওই মেকানিজম ব্যবহার করার কোনো অধিকার নেই। পরমাণু সমঝোতার বর্তমান অচলাবস্থার জন্য তেহরান মোটেই দায়ী নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর পেছনে অঙ্গিকার রক্ষায় ইউরোপীয় পক্ষের বারবার ব্যর্থতাকেই বরং তিনি দায়ী করেছেন। ইউরোপ হয়তো চায় নাই কিংবা চাইলেও অঙ্গিকার পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৮ সালের মে’তে আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাবার পর এক বছর পর্যন্ত ইরান পরিপূর্ণভাবে চুক্তি মেনে চলেছে। তারপর ইউরোপীয় পক্ষগুলোর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়ায় ইরান পাঁচটি পর্যায়ে ধীরে ধীরে পরমাণু সমঝোতার কোনো কোনো অনুচ্ছেদ মেনে না চলার ঘোষণা দেয়। আমেরিকা সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাবার পর ইউরোপের অবস্থান পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ইরানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ইউরোপ মারাত্মকভাবে ব্যর্থতা ও অপারগতা দেখিয়েছে। জার্মান সাংবাদিক আন্না সাভারবারীর মতে: ইনস্টেক্স আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৌশলগত স্বাধীনতায় ইউরোপের নিরর্থক প্রয়াসের একটি চমৎকার উদাহরণ।