মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষে নিহত ৪
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষে নিহত ৪
বিবিসি২৪নিউজ,কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়ার চারমুয়া (চৌমুহনী) তাবলিগ জামাতের মারকাজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে মুন্না বাহিনীর মোহাম্মদ ও গিয়াস উদ্দিনের নাম জানা গেছে। বাকি দুজনের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) অফিস সূত্র চারজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ক্যাম্পে সংঘর্ষের ঘটনায় চার রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয় বলে জানান তিনি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমেদ মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এখনো তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত উখিয়া থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারনামীয় একজনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি কুতুপালং রেজি. ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহীমের ছেলে জিয়াউর রহমান (২০)। অপরদিকে র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে নয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করে। তারা হলেন রশিদ আহমদ (৩২), ছলিমুল্লাহ (৫৫), শফিক আলম (২০), আব্দুল হামিদ (২০), মো. সাবের (৩২), মো. ছালাম (৫০), ইসমাইল (২৫) হারুনুর রশিদ (২৮) ও ফয়েজ (২২) ।
এ সময় চারটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত পাঁচ দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টানা হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় আটজন খুন হন। তাদের কয়েকজন হলেন ইমাম শরীফ, শামসুল আলম, মো. ইয়াছিন ও সমিরা আকতার।
২০১৭ সালে গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছিল। সবমিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ বেকায়দায় রয়েছে। তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বারবার আশ্বাস দিলেও নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে একজন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়নি।