মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » করোনা প্রথম ভ্যাকসিন নিবন্ধন- রাশিয়ার
করোনা প্রথম ভ্যাকসিন নিবন্ধন- রাশিয়ার
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন জানান, মানুষের দেহে প্রায় দুই মাস পরীক্ষা চালানোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিয়েছে৷ মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, ‘‘আজ সকালে নতুন করোনা ভাইরাসের প্রথম ভ্যাকসিনটি নিবন্ধিত হয়েছে৷’’
গামালেয়া ইন্সটিটিউটের প্রশংসা এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে আশ্বস্ত করতে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমি আবার বলতে চাই, এটা (ভ্যাকসিন) প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা উৎরে এসেছে৷ এটি ব্যবহার করা নিরাপদ- এই নিশ্চয়তা এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কেও নিশ্চয়তা দেয়া যায়, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷’’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে আছে ১৭০ টির বেশি উদ্যোগ৷ একেকটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা-পর্ব সারতেই সাধারণত বছরের পর বছর সময় লাগে৷ তবে কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে তা ১২ থেকে ১৮ মাসে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা৷
ভিডিও কনফারেন্সে পুটিন জানান, তার মেয়ে ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং তিনি ভালো আছেন৷ তিনি আরো দাবি করেন, ‘‘আমার এক মেয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছে এবং এক অর্থে সে ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে৷’’
প্রথম দু’বার ভ্যাকসিন নেয়ার পর তার মেয়ের একটু জ্বর (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এসেছিল, তবে ‘‘পরে সব ঠিক হয়ে যায়৷ এখন সে ভালো আছে৷ তার অ্যান্টিবডি কাউন্টও এখন ভালো৷’’
পুটিনের দুই মেয়ে৷ একজনের নাম মারিয়া, অন্যজনের নাম কাতেরিনা৷ তাদের মধ্যে কে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি৷
করোনার ভ্যাকসিন কারা আগে নিতে পারবেন তা-ও ঠিক করে ফেলেছে রাশিয়া৷ সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অর্থাৎ যারা সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন, তারাই সবার আগে এই ভ্যাকসিন নেয়ার সুযোগ পাবেন৷
সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাপক পরিসরে
প্রথম দেশ হিসেবে করোনার ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করালো রাশিয়া৷ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই নিবন্ধন করানোয় রাশিয়া এবং বাইরের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী ভ্যাকসিনটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ পুটিন অবশ্য দাবি করেছেন, পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে৷
তবে এখনই ব্যাপক পরিসরে ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে না রাশিয়া৷ তা শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ৷