রবিবার, ৯ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » লেবাননকে কেন ফ্রান্সের অধীনে দেখতে চান?
লেবাননকে কেন ফ্রান্সের অধীনে দেখতে চান?
বিবিসি২৪নিউজ,আবু আইয়ুব,ফ্রান্স থেকে: আগামী ১০ বছরের জন্য লেবাননকে ফ্রান্সের অধীনে দেখতে চেয়ে অনলাইনে একটি পিটিশন শুরু হয়েছে৷ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার জন এতে সাক্ষর করেছেন৷ কিন্তু কেন?
১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের পর এখন লেবাননের অর্থনৈতিক অবস্থা সবচেয়ে খারাপ৷ তাই গত অক্টোবরে সে দেশে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়৷ আর্থিক দুরবস্থার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অদক্ষতাকে দায়ী করেন অনেকে৷মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর বুধবার কমিউনিটি পিটিশন ওয়েবসাইট avaaz.com-এ একটি পিটিশন শুরু হয়৷ ‘লেবাননকে আগামী ১০ বছরের জন্য ফ্রান্সের অধীনে নিন’ শীর্ষক এই পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘‘লেবাননের কর্মকর্তারা দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন৷… তাই আমরা মনে করি, একটি সুষ্ঠু পরিচালনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করতে লেবাননের ফ্রান্সের অধীনে যাওয়া উচিত৷’’মাক্রোঁর সফর
১৯২০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত লেবানন ফ্রান্সের অধীনে ছিল৷ মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ লেবানন সফরে যান৷ সেখানে বৈরুতের বাসিন্দারা তার কাছে লেবাননের নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভের কারণ তুলে ধরেন৷মাক্রোঁর মন্তব্য
ফরাসি প্রেসিডেন্ট লেবাননের বাসিন্দাদের জানান, তিনি লেবাননের নেতাদের কাছে ‘একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা’ প্রস্তাব করবেন৷ এরপর ১ সেপ্টেম্বর আবারও লেবাননে আসবেন৷ এই সময়ের মধ্যে লেবাননের নেতারা প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করলে তার দায়িত্ব তিনি নেবেন বলে বৈরুতের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন মাক্রোঁ৷
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন দেশ লেবাননে সহায়তা পাঠাচ্ছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন৷
অর্থনীতি ঠিক করতে ২০ বিলিয়ন ডলার চায় লেবানন৷ এ লক্ষ্যে মে মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় আলোচনা স্থগিত আছে৷ ফ্রান্স, জার্মানিও লেবাননে রাজনৈতিক সংস্কারের উপর জোর দিয়েছে৷