শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » হাসিনা-মোদীর ঈদ শুভেচ্ছা, বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার!
হাসিনা-মোদীর ঈদ শুভেচ্ছা, বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার!
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতার আসার পর দুই দেশের সুসম্পর্ক শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (৩১ জুলাই) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। শেখ হাসিনাকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।‘ঈদুল আজহা ভারতের কিছু অংশেও উদযাপিত হয় এবং এটি আমাদের দুই দেশের গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে মনে করিয়ে দেয়। আমরা আশা করি, এই উৎসব আমাদের দুই দেশের সমাজকে শান্তি ও সহিষ্ণুতার চেতনায় সমৃদ্ধ করবে এবং আমাদের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রচার করবে। ’
করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে মোদী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের অধীনে বাংলাদেশে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করি আমরা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশ এই প্রতিকূল সময় কাটিয়ে উঠবে। আমরা স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ যে কোনো উপায়ে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
বাংলাদেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী আরো বলেন, এই শুভ উপলক্ষে আমি আপনার এবং বাংলাদেশী ভাই-বোনদের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গত সপ্তাহ থেকে রেল কন্টেইনারে বাণিজ্যিকভাবে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে এটি নতুন গতি ও স্থিরতা নিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস ‘Sheikh Hasina at helm, India-Bangladesh economic cooperation sets a new milestone’ শিরোনামে এমন খবর প্রকাশ করেছে।
গত ২৬ জুলাই দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্থলপথের পাশাপাশি এই প্রথম রেলপথে ভারত থেকে ৫০টি কন্টেইনারে সাবান, শ্যাম্পু, ট্রেক্সটাইল ফেব্রিকসহ বিভিন্ন প্রকারের পণ্য আমদানি করা হয়। কন্টেইনার ট্রেনটি ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। কন্টেইনারে পণ্য আমদানিকে দুই দেশের বাণিজ্যের নতুন আরেকটি সহজ পদ্ধতি উন্মোচিত হলো বলে মত প্রকাশ করেছেন এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনীতিকদের মতে, কন্টেইনার ট্রেন বাংলাদেশে ভারতের পণ্য রফতানিতেও সহায়ক হবে তাই নয়, এতে কম খরচে বাংলাদেশের পণ্য তুলনামূলক কম খরচে ভারতে পৌঁছাবে। সাধারণত প্রচলিত উপায়ে পণ্য পরিবহনে দুর্নীতি, সীমান্তে চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত খরচসহ নানা কারণে বিঘ্ন ঘটে। রেল কন্টেইনারে সে ঝামেলা থাকছে না। তাই রেল কন্টেইনারে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনকে মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দুই দেশের কূটনীতিবিদরা। রেল কন্টেইনারে পণ্য পরিবহনে তা যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।