রিজেন্ট সাহেদ ২৮ দিনের রিমান্ডে
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: বাংলাদেশের রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার আসামি মো. সাহেদকে আদালত থেকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়। তাঁকে ২৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সিএমএম কোর্ট, ২৬ জুলাই। চার মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম) এই আদেশ দেন। চারটি মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকেও ২৮ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মাসুদ পারভেজকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে চার মামলায় ১০ দিন করে মোট ৪০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে সাহেদ ও পারভেজের মোট ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র বলছে, গ্রেপ্তারের পর সাহেদ ও পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তিনটি এবং রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা একটি মামলা করা হয়। শুনানির সময় সাহেদ নিজে আদালতে কথা বলেন। রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু আদালতকে বলেন, সাহেদ একজন প্রতারক। ১০ হাজার করোনা টেস্টের মধ্যে ছয় হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন আসামি সাহেদ। সাহেদ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে মোট ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার আসামি মো. সাহেদকে আদালত থেকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়। তাঁকে ২৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সিএমএম কোর্ট, ২৬ জুলাই।৬ জুলাই র্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট জব্দ করে। সেখান থেকে হাসপাতালের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র্যাব বাদী হয়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের নামে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করে। সেই মামলায় গত ১৪ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। পরদিন ওই মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হয়। আজ সাহেদের কোমরে মোটা দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করা হয়।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, সাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। ১০ বছর আগের একটি মামলায় ঢাকার আদালত তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। সেই মামলায় সাহেদ কখনোই গ্রেপ্তার হননি। আরেকটি মামলায় ২০০৯ সালে সাহেদ গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে ছাড়া পান।