বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | প্রিয়দেশ » ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পানি বেড়ে, আগাম বন্যার আশঙ্কা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পানি বেড়ে, আগাম বন্যার আশঙ্কা
বিবিসি২৪নিউজ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে আজ বুধবার সকাল ৯টায় সরাইল উপজেলার আজবপুর পয়েন্টে তিতাসের পানি বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা, মৌলভীবাজারের মনু এবং হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি এসে মিলিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে। চারটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। পানি বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চলের গ্রামগুলো। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আগাম বন্যার আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রঞ্জন কুমার দাস জানান, ‘পানি বাড়ার কারণে আশেপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। কুরুলিয়া পয়েন্টে তিতাস নদীর পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর রক্ষা বাঁধ ছুঁয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকলে বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যবেক্ষণ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৭ টি পয়েন্ট এর মধ্যে ৪ টি পয়েন্ট এর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিতাস নদীর চারটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিতাস নদীর নবীনগর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, সরাইলের আজবপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কুরুলিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ও গোকর্ণঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সরাইল ও নাসিরনগর এলাকার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-দৌলা খান বলেন, তিতাস নদীর চারটি পয়েন্টে বিপসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগাম বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে নগদ টাকা এবং চালসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে। জেলা প্রশাসনের টিম প্রস্তুত রয়েছে। বন্যার খবর পেলে জেলা প্রশাসনের টিম সেখানে পৌঁছে তাৎক্ষণিক ত্রাণ তৎপরতা শুরু করবেন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএসএম মোসা বলেন, ‘তিতাস নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখনো বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেনি। টানা বৃষ্টির কারণে হাওরের ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরাইল উপজেলায় কৃষকে বিপুল পরিমাণ আউশ ধানের জমি খতি গস্ত খয়েচে, এবং জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।