মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » পোশাকের নতুন বাজার সন্ধানে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ- পররাষ্ট্র মন্ত্রীর
পোশাকের নতুন বাজার সন্ধানে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ- পররাষ্ট্র মন্ত্রীর
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক,ঢাকা: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সেখানে তৈরি পোশাক শিল্পের বিদ্যমান বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন বাজার সন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সেখানে তৈরি পোশাক শিল্পের বিদ্যমান বাজার ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন বাজার সন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সোমবার রাষ্ট্রদূতদের সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি ওই নির্দেশনা দিয়ে করোনা কালে অর্থনীতিতে সাময়িকভাবে যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে তা মোকাবিলায় সরকার যে ১২.১১ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তাদেরকে তা বিদেশে তুলে ধরতে বলেন । তিনি বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়ে বলেন বহি:বিশ্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক ভারত তাঁর উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলোতে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য চারটি কন্টেইনারের প্রথম পরীক্ষামূলক চালানটি মঙ্গলবার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়েছে। ভারতের কোলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশের জন্য আমদানি করা ভারতীয় পন্যের ২০১ টি কন্টেইনারসহ ট্রান্সশিপমেন্টের চারটি কন্টেইনার নিয়ে এম ভি সেজুতি নামের জাহাজটি আজ বন্দরে ভিড়েছে বলে চট্টগ্রাম বন্দর
কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান বন্দরের পাওনা পরিশোধ এবং অন্যান্য কার্যক্রম শেষে কন্টেইনার গুলোকে সড়ক পথে উত্তর পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠিয়ে দেয়া হবে । উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ভারত তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলোতে পণ্য ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর ব্যাবহার করার অনুনমতি পায়। চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের বন্দর ব্যাবহারের জন্য ভারতকে বিধি মোতাবেক অর্থ পরিশোধ করতে হবে এবং সীমান্তের স্থল বন্দরে পৌঁছানোর জন্য যানবাহনের ভাড়া গুনতে হবে।
ভারতের পন্য ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরামের সাধারন সম্পাদিক এস এম রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন ভারত যদি ট্রান্সশিপমেন্টের কাজ পুরদমে চালু করে তবে বাংলাদেশের উচিত হবে তাদেরকে বন্দরের সামর্থ্য বৃদ্ধির কাজে এগিয়ে আসতে বলা।