মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » সাহেদের সহযোগী মাসুদ পারভেজ গ্রেফতার
সাহেদের সহযোগী মাসুদ পারভেজ গ্রেফতার
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক :প্রতারক সাহেদের সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান কাজের অন্যতম সহযোগী গ্রুপটির এমডি ও র্যাবের করা মামলার ২ নং আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করার কথা জানায় র্যাব। এর আগে গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলীকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এ ব্যাপারে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। দায়ের করা মামলায় রাতেই তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করে সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ৭ জুলাই মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে ওই মামলাটি করে, মামলা নং ৫। মামলাটি তদন্ত করে আসছিলেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর গাজী।
তিনি আজ (১৪ জুলাই) রাতে বলেন, কমিশনারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার ডিবির উত্তরা টিমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শফিকুল আলম বলেন, মো. সাহেদ সম্পর্কে প্রতারণার খবর এখন সবারই জানা। এখন তাকে গ্রেফতার করাই হচ্ছে আসল কথা। তাকে গ্রেফতারে ডিবির টিম কাজ করছে। সাহেদের অবস্থান ও তার প্রতারণা বা অপকর্ম সম্পর্কে কারও কাছে তথ্য থাকলে তা জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় আটজনকে।
এ ঘটনায় ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সর্বশেষ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের প্রধান সহযোগী তারেক শিবলীকে গ্রেফতার করা হয়। হেফাজতে নেয়া হয় টিভি নাটকের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘টেলিহোম’র প্রধান ও সাহেদের ভায়রা মোহাম্মদ আলী বশিরকে।
বর্তমানে গাঢাকা দিয়ে আছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
সাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বলে পরিচয় দিতেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাহেদ একসময় বিএনপি করতেন। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তার তোলা ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চলছে নানামুখী আলোচনা সমালোচনা।
এদিকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে তদন্তকারী দল। হদিস মিলেছে তার বিরুদ্ধে আরও ২৩ মামলার। মোট ৫৬টি মামলার আসামি প্রতারক সাহেদ।