শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি, চিকিৎসা দুর্লভ!
চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি, চিকিৎসা দুর্লভ!
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের হাসপাতাল থেকে গত জুন মাসে হাসপাতাল ঘুরে মানুষের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল সারাদেশের মানুষ। একটি আইসিইউ সিটের বন্দোবস্তের জন্য কিংবা একটু অক্সিজেন সাপোর্ট পাওয়ার জন্য মানুষের আকুতি নাড়া দিয়েছিল পৃথিবীর নানা প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিদের। অথচ মাসের ব্যবধানে সেই চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোর অর্ধেক শয্যাই খালি!
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৬৫৭টি। এসব হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি আছেন মাত্র ৩১৪ রোগী। যার অর্থ হলো, ৩৪৩ শয্যা এখন খালি। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে চট্টগ্রামে একটি আইসিইউ সিট পাওয়া ছিল যেন সোনার হরিণের খোঁজ পাওয়া। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, চট্টগ্রামে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে থাকা ৩৯টি আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন মাত্র ২০ জন। যার অর্থ দাঁড়ায়, এই নগরের হাসপাতালগুলোতে খালি আছে ১৯টি আইসিইউ শয্যা।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ‘রেড’ ও ‘ইয়েলো’ জোনে রোগী ভর্তি আছেন ১৬৬ জন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউসহ ১০০ বেডের বিপরীতে বৃহস্পতিবার ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১০০ জন। জেনারেল হাসপাতালের ইউনিট-২ হিসেবে পরিচিত হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের ৫০ শয্যার ৪২টি এখন ফাঁকা। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল (ইউএসটিসি)-তে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিলেন মাত্র ১৪ জন।
তাহলে কি মাসের ব্যবধানেই চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে? এরপরও অনেকে কেন চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলছেন? করোনা আক্রান্ত আর মৃত্যুর রেকর্ডের পর রেকর্ডের মাঝেও কেন-ই বা রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালায় জাগো নিউজ ২৪ ডটকম।
চট্টগ্রামে শনিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসাবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে গত তিন মাসে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৪০ জন। মারা গেছেন ২১৩ জন। সে হিসাবে, এখনও করোনাভাইরাস বহন করছেন এমন রোগীর সংখ্যা নয় হাজার ৭৪০ জন।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, চট্টগ্রামের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাত্র ৩৩৪ জন (আইসিইউসহ)! যা বর্তমান রোগীর মাত্র ৩.৩৪ শতাংশ। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, বাকি ৯৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ রোগী কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছেন?
হু হু করে রোগী শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামে গত দুই মাসে গড়ে উঠেছে অন্তত নয়টি আইসোলেশন সেন্টার। বেশ কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবীরা। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত ফিল্ড হাসপাতালগুলো ছাড়া এসব আইসোলেশন সেন্টারে রোগীরা তেমন একটা যাচ্ছেন না।
নগরের সবচেয়ে বড় আইসোলেশন সেন্টার চালু করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডসংলগ্ন আইসোলেশন সেন্টারে শয্যা সংখ্যা ২৫০টি। আইসোলেশন সেন্টারটিতে এখন চিকিৎসাধীন আছেন মাত্র ২৪ জন।
হালিশহরে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল পর্যন্ত ৩৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত, বাকি ছয়জনের উপসর্গ রয়েছে। আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী পরিচালিত ৭০ শয্যার ‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টারে’ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাতজন এবং উপসর্গ নিয়ে আসা পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোট রোগী এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামে শতকরা ১০ ভাগ করোনারোগীও এখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। ৯১ থেকে ৯৫ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বাসায় থেকে। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের ৩০ ভাগ হাসপাতালেই যাননি। তাই করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত হিসাবও পাওয়া যাচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহীদুল আনোয়ার। কিন্তু এই এক মাসে অনেক চেষ্টা করেও তার করোনা পরীক্ষা করানো সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও বিআইটিআইডি ল্যাবে দুবার সিরিয়াল দেয়া হলেও আইসিইউতে থাকা এই প্রবীণ চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহে এক মাসেও কাউকে রাজি করানো যায়নি। ওই অবস্থাতেই ২৪ জুন দিবাগত রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তার ছেলে আব্দুল আহাদ বলেন, ‘এক মাসের বেশি সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাবা। ওই এক মাসে শত চেষ্টা করেও বাবার করোনা টেস্ট করাতে পারিনি। চমেকের চিকিৎসকরা বাবার চিকিৎসার বিষয়ে এবং করোনা টেস্টের বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। দেশের একজন স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ হয়েও তিনি যথাযথ চিকিৎসা পাননি।’
সর্বশেষ রোববার সকালে হাসপাতালটির মানসিক স্বাস্থ্য ওয়ার্ডে শামীমা আক্তার নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রোগীকে চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগ ওঠে। মৃতের জামাতা মো. আরিফ বলেন, গত ১০ দিন ধরে তিনি অসুস্থ। মানসিক সমস্যা থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত চার-পাঁচদিন ধরে অবস্থা খারাপ হলে রোগীকে বেঁধে রাখা হয়। একের পর এক ইনজেকশন ও ওষুধ দেয়া হয় কিন্তু রোগীকে একবারও গিয়ে দেখেননি চিকিৎসকরা। গত তিনদিন ধরে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। চিকিৎসক অফিসে বসে থাকেন, হাতে-পায়ে ধরেও রোগীর কাছে নিতে পারিনি। তারা আমাদের সঙ্গে কথা-ই বলতে চান না।
এর আগে ২ জুলাই নগরের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে করোনা সন্দেহে আইসিইউ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। আইসিইউ না পেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই ওই নেতার মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় শুরু থেকে কাজ করছেন এমন একজন সিনিয়র চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন জাগো নিউজের কাছে। বলেন, ‘এক বয়োবৃদ্ধকে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু তিনি কিছুটা উৎভট আচরণ করছিলেন। তাই বাকি চিকিৎসকরা কোনোভাবেই তার চিকিৎসা করতে রাজি হননি। পরে বাধ্য হয়েই ওই বয়স্ক মানুষকে আমরা বাড়ি পাঠিয়ে দেই, পরে সেখানেই তিনি মারা যান। এই কষ্ট আমি কখনও-ই ভুলব না। চিকিৎসকরা যদি আন্তরিক না হন, তাহলে রোগীদের বাঁচানো সম্ভব নয়।’
তিনি মনে করেন, হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনা এবং এখানে আসা রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র দেখে স্বজনরা এখন আর হাসপাতালে রোগী আনছেন না।
তবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. জামাল মোস্তফা মনে করেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে মানুষের মধ্যে একটি ভীতি ছিল। অল্পতেই অনেকে ভয় পেয়ে যেতেন। সেই ভয় কিছুটা হলেও ধীরে ধীরে কাটছে। ফলে হাসপাতালমুখী হওয়ার প্রবণতা কমে আসছে। এসব কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও কমছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার বিড়ম্বনার পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো হাসপাতালে সিট খালি আছে কিনা— তা রোগীর স্বজনরা জানতে পারেন না। ফলে তাদের হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে হয়। এ কারণে অনেকে এখন বাসায় চিকিৎসা নেয়া শ্রেয় বলে মনে করছেন। অন্যদিকে বেড বা আইসিইউ খালি থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় না, বিশেষ করে করোনারোগীদের ক্ষেত্রে।
তবে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনারোগী বেড়েছে। সব রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। সবকটি হাসপাতাল-ক্লিনিককে করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি করাতে হবে। হাসপাতালে প্রতিদিন চার্ট ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কতজন কোভিড এবং কতজন নন-কোভিড রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি করছে না— এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
করেনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে প্রায় চার মাস ধরে বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ চিকিৎসক, প্রায় সবাই তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা বন্ধ রেখেছেন। ফলে যারা করোনায় আক্রান্ত নন কিন্তু অন্য জটিল রোগে ভুগছেন কিংবা যারা নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত অনেক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের মৃত্যুও হয়েছে। এ কারণে সরকারি হাসপাতালের বাইরে ব্যক্তিগত চেম্বার চালুর আগ্রহ নেই অনেক চিকিৎসকের। টেলিমেডিসিন সেবাই এখন একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু এ নিয়েও অভিযোগ আছে রোগীদের। টেলিমেডিসিন সেবা কেবল নামেই। পছন্দসই ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায় না।
নগরীর জামালখান এলাকার এক চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছিলেন গৃহবধূ সালেহা বেগম। ডায়াবেটিসসহ নানা সমস্যায় ভোগা এই নারী গত তিন মাস চেষ্টা করেও জ্যেষ্ঠ ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। গত মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে তিনি আর চেম্বারে আসছেন না। শুরুর দিকে মোবাইলে কথা হলেও এখন মোবাইল নম্বরও বন্ধ। অন্যদিকে বাকি চিকিৎসকরাও তাকে চিকিৎসা দিতে আগ্রহী নন।
মে মাসে যখন চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছিল, তখন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়, উপসর্গহীন রোগীদের চিকিৎসা হবে বাড়িতে। বাড়িতে চিকিৎসা নেয়াদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন বলেও জানানো হয়। কিন্তু যখনই চট্টগ্রামে করোনার রোগী বাড়তে শুরু করে, তখন এই চিত্রও বদলে যায়। এখন শুধুমাত্র ফোন করে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়ে দায় সারছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কোনো গাইডলাইনের দরকার হলে কোথায় ফোন করতে হবে, তা জানেন না রোগীরা। যে নম্বর থেকে কল করে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়, প্রয়োজনে সেসব নম্বরে কল করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীদের অভিযোগ। ফলে রোগীরা নিজেদের মতো করেই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নগরের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট পেলেও কোনো নির্দেশনা পাইনি। এমনকী স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকেও ফোন করা হয়নি। তাই আশপাশে যারা চিকিৎসা করিয়েছেন এবং ফেসবুকে বিভিন্ন পদ্ধতি দেয়া আছে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছি, ভালো আছি।’
এদিকে করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ফেসবুকে নানা ধরনের টোটকা পাওয়া যাচ্ছে। কেউ চিকিৎসক না হয়েও নিজে উপকার পেয়েছেন, এমন কথা বলে নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। যার কোনো বাছবিচার না করেই হুমড়ি খেয়ে নিতে শুরু করছেন একশ্রেণির মানুষ। এমনকী কাঁচা হলুদ বেটে খেয়ে অনেকে সুস্থ হয়েছে, এমন তথ্যও ফেসবুকে হরহামেশাই পাওয়া যাচ্ছে।
শুধু মানুষের দেয়া টোটকাই নয়, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনও ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কোন রোগীকে সেটা দিয়েছিলেন, তা না দেখেই সেই প্রেসক্রিপশন ফলো করছেন অনেকে। ফলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চিকিৎসাপত্র নিয়ে মানুষের মধ্যে ভাবনা বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে ফেসবুকে একশ্রেণির মানুষ করোনাভাইরাসের উপসর্গ, প্রতিরোধের উপায় এবং সুস্থ হয়ে ওঠার পদ্ধতিও পুরোপুরি বলে দিচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে বহু মানুষ সত্যতা বিচার না করে সেই তথ্যে বিশ্বাস করছেন। ফলে হিতে বিপরীতও ঘটছে।