সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » আমেরিকা | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » স্বাধীনতা দিবসের নির্বাচনী বার্তা দিলেন- ট্রাম্প
স্বাধীনতা দিবসের নির্বাচনী বার্তা দিলেন- ট্রাম্প
বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন,ওয়াশিংটন থেকে :প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাউথ ডাকোটা ও ওয়াশিংটনে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফোর্থ জুলাই উদযাপন করলেন। আইন শৃংখলা রক্ষাসহ নানা বিষয় তুলে ধরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালায় তিনি নভেম্বরের নির্বাচনে এক ধরণের প্রচারণার বার্তা দিলেন আমেরিকানদেরকে।
সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন আমাদের হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা । তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সাউথ ডাকোটার মাউন্ট রাশমোরের সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। বেশির ভাগই করোনার বিস্তার এড়াতে মাস্ক পরেন।
তাদের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আইন শৃংখলা রক্ষা ও বামপন্থী সমর্থকদের বিষয়ে জোর দেন, “এই ভয়ংকর আন্দোলনকে রোধ করতে হবে; আমেরিকান শিশুদেরকে রক্ষা করতে যে কোনো অবস্থায় এবং আমাদের প্রিয় আমেরিকান জীবনধারাকে সমুন্নত রাখতে হবে”।
মে মাসে মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর এক মাসেরও বেশি সময় প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্টদের ভাষ্কর্যের শহর মাউন্ট রাশমোরে যান। প্রতিবাদের সময় বিভিন্ন স্থানে অনেক ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার নিন্দা জানানো হয় এবং সেগুলো রক্ষার ওপর জোর দেয়া হয়।
ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভেনেসা বিজলী বলেন, “মূলত মাউন্ট রাশমোরে তিনি যান তাঁর সমর্থকদেরকে একথা বলতে- যে, যেসব ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনা ঘটছে তা যদি আপনারা ভালো না মনে করেন, তাহলে আনি এই সর্ববৃহৎ ও অটল-অনড় ভাস্কর্যের পাশে এসে দাবী করছি এগুলো আমার”।
প্রেসিডেন্টের ভাষণে এ্যাংরি মবসহ নানা শব্দ থাকার কারণে অনেকেই এ ভাষণকে বিভেদ সৃষ্টিকর বলছেন, “আমরা জুলুমের শিকার হতে চাই না। আমরা হীনমন্যতার শিকার হতে চাইনা। এবং আমরা খারাপ লোকের ভিতি প্রদর্শনের শিকার হতে চাই না”।
নভেম্বর নির্বাচনকে ঘিরে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে নির্বাচনী জরিপে তাঁর “আমরা বনাম তারা” বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্লেষক মিশেল কর্নফিল্ডের মতে, “এই মুহুর্তে তাঁর প্রচারণা নয়; অনেক রিপাবলিকানই তাঁর বিরোধীতা করছেন”।
জাতীয় নির্বাচনী জরিপে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প বাইডেনের চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিন্টন জরিপে এগিয়ে থাকলেও তিনি ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।
ডেমোক্রেসি ফান্ড ভোটার স্টাডি গ্রুপের কর্মকর্তা রবার্ট গ্রিফিনের মতে, “নির্বাচনের অনেক দিন বাকী; এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে। তবে এই মুহুর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্বিগ্ন হবার যথেষ্ট কারন আছে। এখন যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে তাঁর উল্টো দিকে হেটে পাহাড়ে ওঠার মতো অবস্থা”।
এই মুহুর্তে যুক্তরাস্ট্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার দৈনিক ৫০ হাজারের বেশী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিষেধ স্বত্বেও ফোর্থ জুলাইয়ে অনেক স্থানে জন সমাবেশ হয়। এজন্য সামনের দিনগুলোতে করোনা বিস্তারের আশংকা আছে।