মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিতে- ইউএনএইচআরসির আহ্বান
রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিতে- ইউএনএইচআরসির আহ্বান
বিবিসি২৪নিউজ,শাম্মি আক্তার,সুইজারল্যান্ড থেকে: জাতিসংঘের সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে মানবাধিকার পরিষদ বা ইউএনএইচআরসি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে।
ইউএনএইচআরসি এর চলতি অধিবেশনে সংস্থাটি কর্তৃক সোমবার গৃহীত ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক প্রস্তাবে এ আহ্বান জানানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার ঢাকায় পাওয়া খবরে জানা গেছে। খবরে বলা হয় প্রস্তাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফেরত যেতে উৎসাহিত করতে মিয়ানমারকে বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করার পাশাপাশি তাদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। ২০১৭ সালের ২৫শে অগাস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পরবর্তী কয়েকমাসে সাত লাখের ওপর রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি। ইউএনএইচআরসি এর প্রস্তাবে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার আওতায় তদন্ত অব্যাহত ও জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান প্রক্রিয়া ও গাম্বিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে চলমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয়।
ইউএনএইচআরসি এর নেয়া প্রস্তাবের ওপর মন্তব্য করতে বলা হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমান ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন অতীতেও আন্তর্জাতিক মহল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কঠোর বক্তব্য এবং প্রস্তাব নিলেও তার কোন দৃশ্যমান প্রভাব দেখা যাচ্ছেনা। এই প্রস্তাবেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোন প্রভাব পড়বে বলে তিনি মনে করেন না।
প্রস্তাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার স্পেশাল র্যাপর্টোটিয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের রাখাইন ও মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলে নির্বিঘ্নে প্রবেশের অনুমতিসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো ছাড়াও দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্পেশাল র্যাপর্টোটিয়ারকে অনুরোধ করা হয়।