বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিহাসে রেকর্ড
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিহাসে রেকর্ড
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা: বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বা ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।গত চলতি মাসের প্রথম দুই দিনে প্রবাসী আয়, অনুদান ও ঋণ হিসেবে ১৬ কোটি ডলার এসেছে। এই অংক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১ জুন) দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের আইএমএফের ৭৩ কোটি ২০ লাখ এবং চলতি জুন মাসের দুই দিনে (১ ও ২ জুন) ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিটেন্স যোগ হওয়ায় রিজার্ভ ৩৪ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “করোনাভাইরাসের এই মহাসংকটের সময়ে আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়ানো, একটি খুবই ভালো খবর। রিজার্ভের এই উল্লম্ফন আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আমরা সাহসিকতার সঙ্গে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে পারব বলে আশা করছি।”
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
এর আগে, ২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর গত আড়াই বছরে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে উঠানামা করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আমদানি ব্যয় কমে গেছে। আবার রপ্তানি আয়ও কম। তবে প্রবাসী আয় আসছে, সঙ্গে ঋণ ও অনুদানও। এ কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। তবে এটা কত দিন ধরে রাখা যাবে, তা নির্ভর করছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আসার ওপর।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এক হাজার ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ (১৬.৩৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল এক হাজার ৫০৫ কোটি ১০ লাখ (১৫.০৫ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে এই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে।