শিরোনাম:
●   বাংলাদেশের কিছু ঘটনার কারণে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ●   ভারতের মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের ●   পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়াসহ তিন বিষয়ে সুরাহা চেয়েছে বাংলাদেশ ●   বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র ●   বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে! ●   সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যে পদক্ষেপ নিল ভারত ●   বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা ●   গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না: ইসরাইল ●   প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীন নির্বাচন করা সম্ভব নয়: নাহিদ ●   ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

BBC24 News
বুধবার, ৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা-গলা কাটা ফি !
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড | স্বাস্থ্যকথা » বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা-গলা কাটা ফি !
১৩৬৬ বার পঠিত
বুধবার, ৩ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা-গলা কাটা ফি !

---বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা:বাংলাদেশে সরকার বেসরকারি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসার কথা ঘোষণা করলেও ফ্রি তো নয়ই,উল্টো ‘গলা কাটা ফি’ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ সর্বশেষ ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের দু’টি ঘটনায় বিষয়টি আলোচনায় এসেছে৷

তবে করোনা ডেডিকেটেড দুইটি হাসাপাতাল জানিয়েছে, সরকার শুরুতে চুক্তি করলেও এখন আর চুক্তি নাই৷ তাই তারা চিকিৎসা খরচ নিতে বাধ্য হচ্ছে৷ আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কথা, ‘করোনা যেহেতু দীর্ঘায়িত হচ্ছে তাই বেশি দিন বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সম্ভব নয়৷’

বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুর রহমান করোনা পজেটিভ নিয়ে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ২৩ মে৷ চিকিৎসার পর ৩১ মে তিনি করেনা পজেটিভ হন৷ এরপরদিন তাকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়৷ তিনি তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালেই রাখা হয়৷ ২ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ওই বিল থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়৷

তিনি জানান, ‘‘আমরা জানতাম ওই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সরকার ফ্রি করে দিয়েছে৷ সেটা জেনেই ভর্তি হয়েছি৷ ভর্তির সময়ও আমাকে বলা হয়নি যে চিকিৎসার জন্য টাকা লাগবে৷

হাসপাতালে থাকার সময় আমার দুইবার ব্লাড টেস্ট হয়েছে এবং দুইটি এক্সরে করা হয়েছে৷ ওষুধ যা দরকার নিজেই কিনে দিয়েছি৷ আর চিকিৎসার সময় আমাকে কেবিনে রাখা হয়৷ আমার আগে আরো ৫ জন ছাড়া পেয়েছেন তাদের কাছ থেকেও একই রকম বিল নেয়া হয়েছে৷ তারা দিতে বাধ্য হয়েছেন৷’’

ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নেয়া আরেকজন কোভিড রোগী মো. হুমায়ূন কবিরের বিল করা হয়েছিল দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা৷ ৩ জুন সকালে বিল কমিয়ে ২০ হাজার ৭০০ টাকা করা হয়৷ ফকিরাপুলের ওই ব্যবসায়ী জানান, তিনি ১৭ মে ভর্তি হন৷ তিন দিন পর তিনি করোনা পজেটিভ হন৷ ওই তিন দিনের জন্য আলাদা ৭৫ হাজার টাকা বিল নিয়ে তাকে করোনা বেডে নেয়া হয়৷ তিনি জানান, ‘‘করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে আমাকে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়৷ ফ্রি বলে বিল কেন? জানতে চাইলে জানানো হয় যে তাদের হাসপাতাল আবার প্রাইভেট হয়ে গেছে৷ বিল পরিশোধ না করতে পেরে রাতে আমি হাসপাতালেই থাকি৷ আজ (বুধবার) সকালে আমাকে আবার আগেরটা বাদ দিয়ে ২০ হাজার ৭০০ টাকার বিল দেয়া হয়৷ আর বলা হয় সরকারে চাপের কারণে বিল কমানো হয়েছে৷ দুই দিনের প্রাইভেট হাসপাতালের বিল রাখা হচ্ছে৷’’

সাইফুর রহমানকেও বুধবার বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেকে নিয়ে এক লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিয়েছে৷ তারও শেষ পর্যন্ত দুই দিনের বিল রাখা হয়েছে৷

এনিয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এহতেশামুল হক জানান, ‘‘সরকারের সাথে আমাদের চুক্তি ছিলো ১৬ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত৷ এই সময়ে আমরা ভাগাভাগি করে খরচ চিকিৎসা খরচ দিয়েছি৷ ৩১ মের পর আর চুক্তি নেই৷ যারা বিল করেন তারা ভুল করে তাই পুরো সময়ের প্রাইভেট বিলই করেছিল৷ কিন্তু পরে নজরে আসার পর আমরা দুই দিনের বিল রেখে বাকিটা বাদ দিয়ে দিয়েছি৷ আমরা এখনো কোভিড হাসাপতাল হিসেবেই কাজ করবো৷ তবে প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায়৷’’ এই হাসাপতালটি এখন পর্যন্ত ৩০০ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে৷

এদিকে আরেকটি প্রাইভেট ডেডিকেটেড কোভিড হাসাতাল রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ জানান, তারাও এখন প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দিচ্ছেন৷ সরকার এখন আর সহায়তা দিচ্ছে না৷ সরকারে সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে৷ তাই রোগীদের কাছ থেকে তারা চিকিৎসা খরচ নিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এনিয়ে সরকারের নীতিমালা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন৷ মানুষ জানে কোভিডের চিকিৎসা ফ্রি কিন্তু বাস্তবে তা নয়৷ সরকার কতটুকু খরচ এখন বহন করবে তা জানালে আমরাও কতটুকু ছাড় দিতে পারব সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারি৷’’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং কোভিড -১৯ বিষয়ক মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে৷ তবে আমরা এখনো তাদের আবেদন গ্রহণ করিনি৷ আর রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ ভাগাভাগি করে দেয়া হতো৷ ‘‘এখন আমাদের সর্বশেষ নির্দেশনা হচ্ছে দেশে কোভিড, নন কোভিড সব উপযুক্ত হাসপাতালই (৫০ বেড বা তার বেশি) করোনার চিকিৎসা করবে৷ সরকারি হাসপাতালে তো ফ্রি চিকিৎসা দেয়া হয়৷ আর বেসরকারি হাসপাতালগুলো যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসা খরচ নেবে৷ আসলে আমরা কখনোই বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসার কথা ওরকম বলিনি৷ সরকার ও বেসরকারি হাসপাতাল এতদিন খরচ ভাগাভাগি করে বহন করত৷ করোনা তো দীর্ঘায়িত হচ্ছে৷ তাই বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষে ফ্রি চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়৷’’

অন্যদিকে করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড না এমন বেসরকারি হাসাপতাল ইচ্ছেমত চিকিৎসা খরচ আদায় করছে বলে অভযোগ আছে৷ টেস্ট এবং আইসোলেশন সেন্টারের নামে তারা করোনার চিকিৎসা দিচ্ছে৷ চিকিৎসা খরচের ব্যাপারে কোনো নীতিমালা দেয়া হয়নি৷



আর্কাইভ

বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানাল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক কতটুকু সফল হবে!
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যে পদক্ষেপ নিল ভারত
বিশ্বে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা
গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না: ইসরাইল
প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীন নির্বাচন করা সম্ভব নয়: নাহিদ
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
ড.ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই: মির্জা ফখরুল
হামাসকে আরও শক্তিশালী আঘাত হানার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
ভারতীয়দের ৮৫ হাজার ভিসা দিল চীন, বন্ধুত্বের বার্তা শি জিনপিংয়ের