মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » শীতল যুদ্ধের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-চীন
শীতল যুদ্ধের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-চীন
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড প্যানডেমিক নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক “মিথ্যা ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব“ ছড়িয়ে মার্কিন কিছু রাজনীতিবিদ দুই দেশের মধ্যে নতুন এক শীতল যুদ্ধ শুরুর পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে। চীনা সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে রোববার বেইজিংয়ে বিশেষ এক সংবাদ সম্মেলনের সুযোগে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ওয়াশিংটনের প্রতি স্পষ্ট করে কিছু বার্তা দিতে চেয়েছেন, যার ফল কারো জন্যই শুভ হবেনা।
চীনা মন্ত্রী বলেন “আমেরিকাকে বদল করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা চীনের নেই। সুতরাং চীনকে বদলের অবাস্তব যে স্বপ্ন আমেরিকা লালন করছে তা তাদের পরিহার করা উচিৎ।“
তিনি সাবধান করেন, “গত কয়েক দশক ধরে দুই দেশের সহযোগিতার ফলে যে সুফল তৈরি হয়েছে, তা নষ্ট করলে তাতে আমেরিকার নিজের ক্ষতি তো হবেই, পুরো বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সচ্ছলতা হুমকিতে পড়বে।“
চীনের কাছ থেকে এমন জোরালো বক্তব্য এমন সময় এলো যখন করোনাভাইরাসের সমস্ত দায় চীনের ওপর চাপানোর চেষ্টায় রাশ টানার কোনো লক্ষণই দেখাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সম্প্রতি এক তত্ত্ব প্রচার করেছেন হোয়াইট হাউজের বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা পিটার নাবারো যে, “চীন করেনাভেইরাসে আক্রান্ত লাখ মানুষকে বিমানে উঠিয়ে সারা পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছে যাতে একটি প্যানডেমিক তৈরি হয়।“ এ কথায় প্রচণ্ড ক্ষেপে গেছে বেইজিং।
বার্লিনে চীন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক দেয়াল অঙ্ক
শায়েস্তা করতে চীনের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি ছেদ করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি মি ট্রাম্প।
কদিন আগে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস প্যানডেমিক আরো একবার প্রমাণ করেছে যে পণ্য এবং সেবার জন্য চীনের ওপর থেকে সবধরনের নির্ভরতার ইতি টানতেই হবে। “
নতুন এক শীতল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব?
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ সময় চীনকে কোণঠাসা করে নতুন এক শীতল যুদ্ধের চেষ্টা কি শুধুই ডোনাল্ড ট্রাম্প বা তার কিছু সহযোগীর কাজ?
অধিকাংশ পর্যবেক্ষক অবশ্য তা মনে করেন না। তাদের কথা - বেশ আগে থেকেই বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বৈরিতা দিনে দিনে বাড়ছে। করোনাভাইরাস প্যানডেমিক তাতে শুধু নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে।
বেইজিং ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর চায়না অ্যান্ড গ্লোবালাইজেশনের প্রেসিডেন্ট ওয়াং হুহাইওর মতে, ১৯৭৯ সালে দুই দেশের মধ্যে পুরোমাত্রায় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠান পর পারস্পরিক অবিশ্বাস এত খারাপ কখনো হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা এশিয়া সোসাইটির মার্কিন-চীন সেন্টারের পরিচালক অরভিল শেল বিজনেস ইনসাইডার পত্রিকাকে বলেন, “আমরা একটি শীতল যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে।“
হংকংয়ের ব্যাপটিস্ট ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক জ্যঁ পিয়ের সেবাস্টিয়ান লন্ডনের ফিনানশিয়াল টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন নতুন এক ধরণের শীতল যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে।“চীন-মার্কিন বৈরিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়েই।