শনিবার, ১৬ মে ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত ৯৩০ জন, মৃত্যু ১৬
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্ত ৯৩০ জন, মৃত্যু ১৬
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা: বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৬ জন। এতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১৪ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৯৩০ জন। ফলে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৯৯৫ জন।
শনিবার (১৬ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ঢাকার মধ্যে ২০টি ল্যাব থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ১২টি ল্যাবে এবং ঢাকার বাইরের ২১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ছয় হাজার ৫০১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ছয় হাজার ৭৮২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৬৭ হাজার ২৯৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৯৩০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৯৯৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৬ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩৫ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার হাজার ১১৭ জন।
নতুন করে যারা মারা গেছেন তারা সবাই পুরুষ। এদের মধ্যে একজন ত্রিশোর্ধ্ব, পাঁচজন চল্লিশোর্ধ্ব, ছয়জন পঞ্চাশোর্ধ্ব, তিনজন ষাটোর্ধ্ব এবং একজন সত্তরোর্ধ্ব।
ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন করোনাভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্বই। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪৬ লাখ। মৃতের সংখ্যা তিন লাখ আট হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সাড়ে ১৭ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তারপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও।
ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি আরও নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও এরই মধ্যে পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্তে ১০ মে থেকে সবার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদও।