শনিবার, ৯ মে ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » ঈদে খুলবে না- রাজধানীর অভিজাত শপিংমল-মার্কেট
ঈদে খুলবে না- রাজধানীর অভিজাত শপিংমল-মার্কেট
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে সরকার অনুমতি দেয়ার পরও করোনা সংক্রমণে সর্বপ্রথম গত বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় যমুনা গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। এরপরই বসুন্ধরা সিটি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। মূলত গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোও এখন ফাঁকা। গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলো এখন ফাঁকা।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্র ও শনিবার রাজধানীর অন্য সব মার্কেট না খোলার ঘোষণা দেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
মূলত গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল এবং বিকাল ৪টার পর দোকান বন্ধের নির্দেশনা থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রামপুরা, শান্তিনগর, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর এলাকায় রাস্তার পাশে কিছু বিপনি-বিতান শনিবার থেকে খুলতে দেখা গেছে।
শনিবার পর্যন্ত যেসব মার্কেট না খোলার খবর পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো-যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালেব প্লাজা, পলওয়েল মার্কেট, মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট, নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক, চিশতিয়া মার্কেট, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, ইসমাইল ম্যানশন, ইস্টার্ন মল্লিকা, চাঁদনি চক, নূর ম্যানশন, গোল্ডেন প্লাজা, গ্রিন স্মরণিকা, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, নূরানী ম্যানশন, এলিফ্যান্ট রোডের আশপাশের মার্কেট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, মিরপুর এলাকার শপিংমল।
পলওয়েল মার্কেট দোকান সমিতির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম তালুকদার মনি বলেন, নয়াপল্টন করোনার ডেঞ্জার জোন হওয়ায় ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতি মার্কেট চালু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর যে ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা মেনে দোকান খোলা কঠিন। তাই ব্যবসায়ীরা মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটের সভাপতি ও মহানগর দোকান মালিক সমিতির নেতা সারওয়ার উদ্দিন খান বলেন, শনিবার গাউসিয়া মার্কেট প্রাঙ্গণে নিউমার্কেট ও আশপাশের ১২টি মার্কেটের দোকান মালিক সভাপতিরা বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঈদের আগে সব মার্কেট বন্ধ থাকবে। মার্কেটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-গাউছিয়া মার্কেট, চিশতিয়া মার্কেট, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, ইসমাইল ম্যানশন, ইস্টার্ন মল্লিকা, চাঁদনি চক, নূর ম্যানশন, গোল্ডেন প্লাজা, গ্রিন স্মরণিকা, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, নূরানী ম্যানশন।
তিনি আরো বলেন, গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল, ৪টার পর দোকান বন্ধ রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মানার যেসব বিধি-নিষেধ দেয়া হয়েছে তা মেনে এই মুহূর্তে মার্কেট চালু করা সম্ভব নয়। চাঁদনি চক মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন, আপাতত ঈদের আগে মার্কেট খোলা হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে মার্কেট খোলা হবে।
ঢাকার হাতিরপুল এলাকার মোতালিব প্লাজার দোকানমালিক সমিতি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দোকান বন্ধ রাখার খবর জানিয়েছে। একই খবর জানিয়েছে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, জাকির প্লাজা, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গুলিস্তান পুরান বাজার ও বঙ্গ ইসলামী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও মার্কেট খোলার বিষয়ে সরকারি বিধিনিষেধ পর্যালোচনা করে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ঢাকা নিউ মার্কেট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
এদিকে রামপুরা, শান্তিনগর, খিলগাঁও ও মিরপুর এলাকায় রাস্তার পাশে জুতা, জামা-কাপড়, ইলেকট্রনিক্স, টেইলার্সসহ অন্য সব দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। তবে বড় পরিসরে মার্কেট খুলতে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। গত ৪ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১০ মে থেকে মার্কেট খোলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শপিংমল ও দোকানপাট খোলা যাবে। তবে বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে গত ৭ মে ক্রেতাদের নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এতে বলা হয়, প্রত্যেক ক্রেতাকে নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীতে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।