সোমবার, ৪ মে ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৫১ তম
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ১৫১ তম
বিবিসি২৪নিউজ,শারমিন আক্তার ঢাকা: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও রোববার পালিত হয়েছে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস বা ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে।বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যে
বাংলাদেশে দিনটি অন্যান্য বছরের মত আনুষ্ঠানিক ভাবে পালিত না হলেও সাংবাদিকরা সরব ছিলেন মুক্ত চিন্তা, বাক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে। তবে এই দিনটিতে বড় চমক ছিল প্রায় দুই মাস পর সন্ধান মিলল নিখোঁজ ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের। আজ ভোরে বেনাপোল সীমান্তের কাছে তাঁকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার থানা পুলিশ।
সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা প্যারিস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার বা আরএসএফ এর সদ্য প্রকাশিত বিশ্বের ১৮০ টি দেশের ২০২০ সালের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২০১৯ সালের সূচকের চেয়ে এক ধাপ কমে ১৫১ তে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৩ নম্বরে যা গত ১১ বছরে ২৮ ধাপ পিছিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে চলতি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিন মাসে সাংবাদিকরা তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ১১ জন আহত হয়েছেন, মারধরের শিকার হয়েছেন ৯ জন, ৩ জনকে হুমকি দেয়া হয়েছে এবং এক জনকে গ্রেফতার ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার এ পরিস্থিতিতে কেবল সুষ্ঠু গণতন্ত্রই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে বলে মনে করছেন গণমাধ্যম, মানবাধিকার এবং রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস নিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে কথা বলেছেন পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা। এদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলা দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সম্পাদক মাইনুল আলম এবং মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী জিয়া হাবিব।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া নানা প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করেও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ ও তাঁদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং নিয়মিত বেতন-ভাতার পাশাপাশি আপদকালীন ঝুঁকি ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।