শুক্রবার, ১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » আন্তর্জাতিক আইন ফাঁকি দিয়ে চলছে-পাক-ভারত পরমাণু কর্মসূচি
আন্তর্জাতিক আইন ফাঁকি দিয়ে চলছে-পাক-ভারত পরমাণু কর্মসূচি
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মার্কিনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাডভানস ডিফেন্স স্টাডিজ বা সি৪এডিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পাক-ভারত পরমাণু কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের যোগান আসছে বিদেশ থেকে। আন্তর্জাতিক আইনের নানা ফাঁক-ফোকর দিয়ে শত শত বিদেশি কোম্পানি দেশদু’টোতে পরমাণু-পণ্যের যোগান অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাডভানস ডিফেন্স স্টাডিজ বা সি৪এডিএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি সাড়ে ১২ কোটিরও বেশি বেসামরিক বাণিজ্যিক তথ্য, দরপত্র এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত দলিল-পত্র বিশ্লেষণ করেছে। এরপর আমেরিকা ও জাপানের রফতানি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যে সব সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে তাদের সঙ্গে এগুলোকে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।
পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক কঠোর কড়াকড়ির মুখে রয়েছে। দেশটিতে পরমাণু-পণ্য সরবরাহে জড়িত সন্দেহভাজন ১১৩টি বিদেশি সরবরাহকারীকে চিহ্নিত করেছে আমেরিকা এবং জাপান। এর বাইরে আরও ৪৬টি সরবরাহকারীকে চিহ্নিত করেছে সি৪এডিএস। এদের অনেকগুলোই বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হংকং, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত।
পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পরমাণু প্রযুক্তি কেনার ছাড় দেয়া হয়েছে দেশটিকে। সবগুলো না হলে কিছু কিছু পরমাণু স্থাপনা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’কে পরিদর্শনের অনুমতিও দেয় ভারত।
সি৪এডিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২২টি কোম্পানি ভারতের পরমাণু স্থাপনাগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য করছে। আর এগুলোর ওপর আইএইএ’র কোনও নজরদারি নেই। এর মধ্যে ৮৬টি কোম্পানি ভারতের একাধিক পরমাণু স্থাপনার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান ও ভারত কেউই এনপিটি সই করে নি। তাই তাদের সব পরমাণু স্থাপনার জন্য আইএইএ’র নজরদারির বাধ্যতামূলক নয়। তবে এ প্রতিবেদনে ভারতের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আরও গভীর ভাবে খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনও পরমাণু-পণ্য সামরিক স্থাপনায় যাচ্ছ না তার মানে এই নয় যে শেষ পর্যন্ত ওই পণ্যের প্রক্রিয়া কেবল ওখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
বিশ্বে পরমাণু বোমার মজুদ নিয়ে কাজ করছে অলাভজনক সংস্থা ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টের। এ সংস্থার হিসাবে বলা হয়েছে পাকিস্তান ও ভারতের উভয় দেশের ভাণ্ডারে প্রায় দেড়শ পরমাণু বোমা রয়েছে।