মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ প্রকাশ
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ প্রকাশ
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শিশুদের জীবনরক্ষাকারী টিকাদান কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়েছে সংস্থাটি। দরিদ্র দেশের শিশুদের নিয়ে সংস্থাটির চিন্তা আরও বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করেন সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। যদিও ধনী দেশগুলোতে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির প্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাস নির্মূল করতে হলে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। অনেক কাজ এখনও বাকি।’ তবে সঠিক পদক্ষেপ নিলে দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন আধানম।
করোনাভাইরাসের পাশাপাশি শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আধানম। এ ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিশুদের অন্য রোগের টিকা দেওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
আধানম বলেন, তুলনামূলকভাবে শিশুদের কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই কম। তবে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকায় অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা।
বিশ্বব্যাপী এক কোটি ৩০ লাখ শিশুর টিকাদান কর্মসূচি ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ফলে এসব শিশুরা পোলিও, হাম, কলেরা, পীতজ্বর (ইয়েলো ফিভার) ও মেনিনজাইটিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
গ্যাভি গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের বরাত দিয়ে আধানম বলেছেন, বিশ্বের ২১টি দেশে বিভিন্ন রোগের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এর কারণ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া ও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে না পারায় আফ্রিকার সব-সহারা অঞ্চলের দেশগুলোতে এ বছর ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আধানম বলেছেন, আফ্রিকায় যাতে সে পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।