শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১

BBC24 News
শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » পাকিস্তানের গোপনীয় ডুবোজাহাজ এক্স-ক্রাফট
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | শিরোনাম | সাবলিড » পাকিস্তানের গোপনীয় ডুবোজাহাজ এক্স-ক্রাফট
১৮২১ বার পঠিত
শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাকিস্তানের গোপনীয় ডুবোজাহাজ এক্স-ক্রাফট

---বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান নৌবাহিনীর কমান্ডো স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (নেভি) বা এসএসজি(এন)’র কাছে রয়েছে রহস্যজনক ডুবোজাহাজ এক্স-ক্রাফট। এ ডুবোজাহাজ সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয় নি। এর উদ্দেশ্য, তৎপরতা এবং কি ধরণের অভিযানে নামবে সে সম্পর্কে কোনও তথ্যও আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি।

এক্স-ক্রাফট লম্বায় মাত্র ৫৫ ফুট এবং প্রস্থে ৭ বা ৮ ফুট। অর্থাৎ এটি আকৃতিতে প্রচলিত ডুবোজাহাজের ভগ্নাংশ মাত্র। ডুবোজাহাজ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বই পুস্তকে এক্স-ক্রাফট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায় না। এমনকি এইচ আই সুটনের ডুবোজাহাজ বিষয়ক উল্লেখযোগ্য বই ওয়ার্ল্ড সাবমেরিনস কভার্ট শোরস রিকগনিশন গাইডেও এ নিয়ে তথ্য নেই বলে সম্প্রতি ফোর্বেসে লেখা এক নিবন্ধে স্বীকার করেন তিনি।

পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচির একটি বিশেষ নৌ ঘাঁটি পিএনএস ইকবালে এ ডুবোজাহাজ মোতায়েন আছে বলে দাবি করেন এইচ আই সুটন। পাক নৌবাহিনীর এ বিশেষ ঘাঁটির কথা প্রতিরক্ষা জগতের সবাই জানেন। কিন্তু সেখানে এ বিশেষ ডুবোজাহাজ প্রায় সবার চোখের সামনেই লুকিয়ে রেখে পাক নৌবাহিনী বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।

ক্ষুদে এ ডুবোজাহাজকে পাক নৌবাহিনীতে এক্স-ক্রাফট হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ শব্দটি এসেছে ইতালির ডুবোজাহাজের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কসমসের কাছ থেকে। সাধারণ ভাবে কসমস বলা হলেও এ প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত নাম ইংরেজি অক্ষরে Cos.Mo.S হিসেবে লেখা হয়।

ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী দ্বিতীয় মহাসমরের সময়ে ক্ষুদে ডুবোজাহাজকে এক্স-ক্রাফট হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর ক্ষুদে ডুবোজাহাজের জন্য এ শব্দটিই শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করেছে কসমস। এক্স-ক্রাফটের মতো ক্ষুদে ডুবোজাহাজকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ড্রাই কমব্যাট সাবমারসিবল বা ডিসিএস বলা হয়। মার্কিন নৌকমান্ডো বাহিনী সিল ব্যবহার করে এটি। পাকিস্তান নৌবাহিনীর কমান্ডো স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (নেভি) বা এসএসজি(এন)কে সে দেশে সিল বলা হয়। মার্কিন সিলের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে থাকেন এসএসজি(এন) সদস্যরা। এসএসজি(নেভি)’র সদর দফতর করাচির পিএনএস ইকবালে অবস্থিত।
এক্স-ক্রাফটের বিবরণ

পাক নৌবাহিনী তিনটি এমজি-১১০ এক্স-ক্রাফট ব্যবহার করে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সালে এ সব ডুবোজাহাজ পাকিস্তান নিজেই তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হয়। এগুলো পুরানো হয়ে গেছে এবং পাক নৌবাহিনী এগুলো বদলে ফেলার কথা ভাবছে।

ইতালির কসমস এগুলোর নকশা করেছিল কিন্তু সে প্রতিষ্ঠান দুই দশক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্ষুদে ডুবোজাহাজের নকশা করছে ড্রাস নামের আরেকটি সংস্থা।

কিন্তু ড্রাসের নকশার সঙ্গে পাক ক্ষুদে ডুবোজাহাজের মিল নেই। ড্রাসের নকশা করা সবচেয়ে ক্ষুদ্র ডুবোজাহাজ হলো ডিডি-৮৫ কিন্তু পাকিস্তানের এক্স-ক্রাফট এরচেয়ে একটু লম্বা। ২০১৬ সালে প্রথম পাকিস্তানে এ ডুবোজাহাজ দেখা গেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন বিভাগ বা এওডিপি’র ২০১৫-১৬ সালের ইয়ারবুক বা বর্ষবইতে বলা হয়, পাকিস্তান ২০১৬-১০১৭ সালে নিজ নকশায় একটি ক্ষুদে ডুবোজাহাজ নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এটাই সে ডুবোজাহাজ কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। এ ছাড়া, তুর্কি এসটিএম’ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষুদে ডুবোজাহাজ তৈরি করছে বলে খবর এরপর প্রকাশিত হয়েছে।

বাণিজ্যিক উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবিতে এক্স-ক্রাফটকে পানিতে নামার দৃশ্য খুবই কম দেখা গেছে। ২০১৬ সালে এটির পানিতে নামার একটি পরিষ্কার ছবি পাওয়া গেছে। তবে পাক নৌ ঘাটিতে একে ঢেকে রাখা হয়েছে তাঁবু দিয়ে। মাঝে মাঝে তা সরানো হয়। এতে বোঝা যায় এক্স-ক্রাফটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নিয়মিতই চলছে। পাক নৌবাহিনী অনর্থক কোনও ব্যয়ভার বহন করবে না। সমর বিশ্লেষকরা মনে করেন, এক্স-ক্রাফটকে বাতিল মনে করার কোনও কারণ নেই। তবে এটি কি ধরণের অভিযানে ব্যবহার হবে তা জানতে অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও পথও খোলা নেই।



আর্কাইভ

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক দিকে অগ্রসর হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত
পারমাণবিক আশ্রয়কেন্দ্র বানাচ্ছে রাশিয়া!
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ
ইলন মাস্কের রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে হাজির ট্রাম্প
লেবাননে নিহত দুই শতাধিক শিশু: ইউনিসেফ
মার্তিনেজের ধাঁধানো গোলে জিতল আর্জেন্টিনা
পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিধি বাড়ালেন পুতিন
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সফল হয়নি: হাসনাত
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইন সামরিক গোয়েন্দা তথ্য চুক্তি স্বাক্ষর