বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জার্মানির বিধিনিয়ম শিথিল হচ্ছে ৪ঠা মে
জার্মানির বিধিনিয়ম শিথিল হচ্ছে ৪ঠা মে
বিবিসি২৪নিউজ, আইয়ুব খান,জার্মান থেকে: জার্মানির বর্তমান কড়াকড়ির মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিয়ম শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের আলোচনার পর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলএসব সিদ্ধান্ত নেন।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পুরোপুরি লকডাউনের পথে না গিয়ে দুইয়ের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল জার্মানি৷ মানুষের মধ্যে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার ব্যবস্থা ছাড়া দোকানবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি অনেক স্থাপনা বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু ইস্টারের পর বিধিনিয়ম অন্তত কিছুটা শিথিল করার জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়ছিল৷
এই অবস্থায় জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বুধবার সন্ধ্যায় ম্যার্কেল এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন৷
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার ফলে করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণে আনতে সাফল্য এলেও সেই সাফল্য অত্যন্ত ভঙ্গুর বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷ তাই বর্তমান বিধিনিয়ম আপাতত ৩রা মে পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন তিনি৷ ম্যার্কেল বলেন, দুই সপ্তাহ অন্তর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ মানুষের প্রাণ বাঁচানোর বিষয়টিকেই সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে৷ তাই সংক্রমণ প্রতিরোধ যতটা সম্ভব নিশ্চিত করে তবেই কোনো ক্ষেত্রে বিধিনিয়ম শিথিল করা হবে৷
রাজ্য বা স্থানীয় পর্যায়ে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী ভিন্ন নিয়ম চালু থাকলেও গোটা দেশজুড়ে একই ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা৷ বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে জার্মানির সীমান্তও আপাতত বন্ধ থাকবে৷
অন্যদিকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করছে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি৷ যেমন কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ এর আওতায় স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কড়া নিয়ম মেনে আরও কিছু দোকানবাজার খোলা হবে৷ ৪ঠা মে থেকে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তবে প্রথমে শুধু উঁচু ক্লাসের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খোলা হবে৷
জার্মানির হাসপাতাগুলোতে আগে থেকেই নার্সের সংকট আছে। এই সংকট সামাল দিতে যারা আছেন তাদের প্রতিদিন অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়, অথচ সে অনুযায়ী অর্থ পান না। ফলে বাড়তি চাপ সামলাতে না পেরে অনেকে চাকরি ছাড়েন।