বুধবার, ১৫ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » আলোচিত সংবাদ | জেলার খবর | শিরোনাম | সাবলিড » করোনায় মারা গেলেন সিলেটের ডা. মইন উদ্দিন
করোনায় মারা গেলেন সিলেটের ডা. মইন উদ্দিন
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধি,সিলেট: সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মইন উদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সিলেট ডা. শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ঘটনাটি আমাদের জন্য কষ্টের। আমরা একজন চিকিৎসককে হারালাম।
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে ওই চিকিৎসকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনিই সিলেটে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। পরে ওই রাতেই নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় চিকিৎসকের বাসা লকডাউন করে প্রশাসন। পরদিন ৬ এপ্রিল পুরো হাউজিং এস্টেট এলাকা লকডাউন করা হয়।
এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে ৭ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে তাকে নগরের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। পরদিন (৮ এপ্রিল) উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তার পরিবারের ইচ্ছায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে ডা. মঈনের অবস্থার অবনতি হয়। তাকে বাঁচাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (১৩ এপ্রিল) হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডা. মঈন উদ্দিন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। তার চেম্বার ছিল নগরের সুবহানিঘাট ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে তিনি প্রাইভেট প্রাকটিস করতে, রোগী দেখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে কোনো প্রবাসী করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সংস্পর্শে থাকা চিকিৎসকসহ ১৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
করোনায় মৃত্যুবরণকারী ডা. মঈন নগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং এস্টেট এলাকার সিদ্দিক আলীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক ছিলেন এবং তিনি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ইন্টারনাল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান।