সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » করোনায় জনিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় নগদ সহায়তা দেবে সরকার
করোনায় জনিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় নগদ সহায়তা দেবে সরকার
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা:দেশের বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসজনিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ও করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যারা কাজ হারিয়েছেন সরকার তাদের নগদ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ খাতে ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরাসরি নগদ অর্থ পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারানোদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিনমজুর, রিকশা বা ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেল শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ যারা দীর্ঘ ছুটি বা আংশিক লকডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন তাদের নামের তালিকা, ব্যাংক হিসাবসহ দ্রুত তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
‘এই তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে এককালীন নগদ অর্থ সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে। এ খাতে ৭৬০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।’
করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে শিল্প-বাণিজ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে পূর্বঘোষিত প্রণোদনা ও ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে।
নববর্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তুলে ধরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সুরক্ষায় যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে:
(ক) স্বল্প-আয়ের মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার জন্য ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ১ লাখ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মোট মূল্য ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।
(খ) শহরাঞ্চলে বসবাসরত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ওএমএস-এর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আগামী তিন মাসে ৭৪ হাজার মেট্রিক টন চাল এই কার্যক্রমের আওতায় বিতরণ করা হবে। এ জন্য ২৫১ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করতে হবে।
(গ) দিনমজুর, রিকশা বা ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, পত্রিকার হকার, হোটেল শ্রমিকসহ অন্যান্য পেশার মানুষ যারা দীর্ঘ ছুটি বা আংশিক লকডাউনের ফলে কাজ হারিয়েছেন তাদের নামের তালিকা ব্যাংক হিসাবসহ দ্রুত তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা প্রণয়ন সম্পন্ন হলে এককালীন নগদ অর্থ সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে। এ খাতে ৭৬০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
(ঘ) সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় পরিচালিত ‘বয়স্ক ভাতা’ ও ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য ভাতা’ কর্মসূচির আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় শতভাগে উন্নীত করা হবে। বাজেটে এর জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ৮১৫ কোটি টাকা।
(ঙ) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। এ বাবদ সর্বমোট ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। কেউ গৃহহীন থাকবেন না।
দেশের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমসমূহ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসজনিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় এসব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।