কঠিন সময় পার করছি- সৌদি বাদশা
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৭২ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা থেকে রেহায় পায়নি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিল করেছে সৌদি আরব সরকার। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে মক্কার মসজিদ আল-হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী ছাড়া দেশের বাকি সব মসজিদে নামাজ আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি। তবে মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। সেখানে শুধু জামায়াতে নামাজ পড়া সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। নিয়মিত আজান হবে এবং সবাইকে বাসায় নামাজ পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ। ভাষণে তিনি বলেছেন, আমরা এখন কঠিন দিন পার করছি, সামনে আরও কঠিনতম সময় আসছে। মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা আমার প্রথম অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রিয় নাগরিক এবং বাসিন্দাগণ (মহান আল্লাহ আপনাদের সুস্থ ও নিরাপদে রাখুক) নিশ্চয় আমরা ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, এই সময় চলে যাবে এবং সুদিন আসবে ইনশাআল্লাহ। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন ان مع العسر يسرا ।
ভাষণে তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রিয় এই দেশের পক্ষ হতে বৈশ্বিক মহামারীকে মোকাবেলা করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং আল্লাহর ফজলে তার সেই সক্ষমতা রয়েছে। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই যে এই পবিত্র ভূমি আপনাদের ওষুধ চিকিৎসা ও খাদ্যের পর্যাপ্ত পরিমাণ এর ব্যবস্থা করবে। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান অবশ্যই তাদের সর্বাগ্রে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রত্যেকটি নাগরিক এবং মুকিমের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ এক্ষেত্রে জড়িত সকল কর্মীদেরকে আমি আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সৌদি বাদশা বলেন, সামনের দিনগুলো আরও কঠিনতর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আপনাদেরকে আবারও নিশ্চিত করতে চাই যে ভবিষ্যতেও ইনশাআল্লাহ আমরা এই বিপদের মোকাবেলা করবো প্রত্যেক নাগরিক ও মুকিমের সুস্বাস্থ্য এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য।
সৌদি আরবে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭৪ জন। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। এছাড়াও চিকিৎসা সুস্থ হয়েছেন আট করোনা আক্রান্ত।