পাপিয়ার দুই মামলার তদন্তভার পেল র্যাব
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিন মামলার মধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলার তদন্তভার অবশেষে র্যাবকে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিমানবন্দর থানার জাল নোটের মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের হাতেই রেখেছে বলে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল জানিয়েছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে পাপিয়ার রিমান্ড মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে জানিয়ে বুলবুল বলেন, “আমরা আরও দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করব।এই র্যাবের অভিযানেই গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী (মতি সুমন) এবং তাদের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার হন।
এরপর মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখল এবং ওয়েস্টিন হোটেলে নারীদের দিয়ে ‘যৌন বাণিজ্যসহ’ নানা অপকর্মের অভিযোগ আসতে থাকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ওরফে পিউয়ের বিরুদ্ধে। তখন দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের সময় পাপিয়াদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা হয় জাল নোটের মামলাটি, যাতে পাপিয়া ও তার স্বামীর সঙ্গে তার দুই সহযোগীকেও আসামি করা হয়।
আর ওয়েস্টিন হোটেলে পাপিয়ার ভাড়া করা প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট এবং ইন্দিরা রোডে পাপিয়াদের দুটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল মদ উদ্ধারের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হয় দুটি মামলা। অস্ত্র ও মাদক আইনের এ দুই মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকেই কেবল আসামি করা হয়।
ওই তিন মামলায় পাপিয়াকে পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। বিমানবন্দর থানার মামলায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলার মধ্যেই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।
কিন্তু পাপিয়াদের গ্রেপ্তার ও পরে বাসা-হোটেলের অভিযানে সম্পৃক্ত থাকায় র্যাবও মামলার তদন্তভার পেতে আগ্রহী ছিল। সে কারণে র্যাবের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়।
এর মধ্যে দুটি মামলা তদন্তের অনুমতি পাওয়ার পর র্যাব কর্মকর্তা বুলবুল আজ বলেন, “আমরা বৈঠক করে তদন্তের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।