সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » আইন-আদালত | শিরোনাম | সাবলিড » করোনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাড়তি কথা না বলার পরামর্শ হাইকোর্টের
করোনা নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বাড়তি কথা না বলার পরামর্শ হাইকোর্টের
বিবিসি২৪নিউজ,আদালত প্রতিনিধি: করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় কথা না বলতে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাড়তি কথায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এসব পরামর্শ দেন।
সকালে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর দেশে কেউ যেন মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের দাম বেশি না নিতে পারে এবং মজুদ করতে না পারে সে জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পরমর্শ দেন আদালত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত বলেন, করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। এখন মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতাও তৈরি হয়েছে। সে সুযোগে এটা নিয়ে বাজারে কোনো ধরণের ব্যবসা হয় কিনা পিয়াজের মতো, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট ব্যবহার করতে হবে। কেউ যেন বেশি দাম না নিতে পারে। মজুদ না করতে পারে।
এ সময় আদালতে থাকা আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এটার ব্যাপকতা যে কত, তা সরকারও অনুভব করেছে। তারা কিছু স্টেপ নিয়েছে। মাস্ক নিয়ে বলবো। ১০ টাকার মাস্ক ১২০ টাকা নিচ্ছে।
আইইডিসিআরের প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ের বিষয়ে এক পর্যায়ে আদালত বলেন, আইইডিসিআরের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রেস ব্রিফিং করেন। তার বক্তব্য আরও পজিটিভ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটা যেন কোনোভাবে মানুষর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না করে। কারণ মানুষ যথেষ্ট সচেতন। মানুষের কাছে মোবাইল আছে। মানুষের কাছে সব খবর যায়।
ওনারা কি করছেন, মানুষ কিভাবে সচেতন হবে এবং কি করা দরকার সে বিষয়গুলো মানুষকে জানানো দরকার। আর সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা জানানো দরকার। গণমাধ্যমে প্রচারের বিষয়ে আদালত বলেন, মিডিয়াতে এমনভাবে সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে যেন মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়। আদালত বলেন, বিষয়টি নজরে রাখলাম। আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের জন্য রাখা হলো।
এর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চান হাইকোর্ট। সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এলে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এই বেঞ্চ তিনটি মৌখিক নির্দেশনা দেন।