শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | শিরোনাম | সাবলিড » অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান হাত ধরে চলে: অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান হাত ধরে চলে: অর্থমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভালো কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে না- এমন সমালোচনার জবাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘কিছু কথা উঠছে, যেমন- দেশে তো উন্নয়ন হচ্ছে, মাথাপিছু জিডিপিও ভালো।গত পাঁচ বছরে ৪৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তবে এখানে তো জবলেস গ্রোথ। আপনারা অর্থনীতির ছাত্র, অর্থনীতির প্রবক্তা, পলিসি মেকিংয়েও সাহায্য করেন, যদি কর্মসংস্থানই না হবে তাহলে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি কোথা থেকে আসবে? অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর কর্মসংস্থান হাত ধরে চলে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেলে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন-২০২০’-এ অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক বণিক বার্তা ও সিটি ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে, যেখানে কর্মসংস্থান, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবদান অনেক কম। কিন্তু অর্থনীতিতে তারা সবার ওপরে। তাদের অন্য খাত আছে। আমরাও তো সে খাতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটা মিটিংয়ে বলেন, চাকরির জন্য কষ্ট করতে হবে না। সবাই চাকরি পাবেন। চাকরির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। সেখানে দুই-তিন কোটি মানুষের চাকরি হবে।’ অর্থমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য সময় চেয়ে বলেন, ‘আমি যেভাবে সংবিধান পেয়েছি, যেভাবে কর্মপরিকল্পনা পেয়েছি, যেভাবে অর্থনীতি পরিকল্পনা সাজাতে হয়, সেভাবে কাজ করছি। আমাকে সময় দিতে হবে। আমাকে সময় দিন, আপনারা ফলাফল পাবেন।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সঞ্চয় সেবাগুলো বালিশের নিচে টাকা রাখার মতোই। এগুলোর কোনো বহুমুখী ব্যবহার নেই। কীভাবে এগুলো মেইনস্ট্রিমে নিয়ে আসা যায়? সে ব্যাপারে কাজ করছি। আমরা তো গায়ের জোরে কিছু করতে চাইনি। সঞ্চয়ের সেবাগুলো ছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য, যারা পেনশন পান তাদের জন্য। দেখলাম এটার অপব্যবহার হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয়পত্রেরও অটোমেশন হয়ে যাবে।’ পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পুঁজিবাজার উঠবে নাকি নামবে, তা দেখার দায়িত্ব আমার নয়। আমার কাজ হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা। আমার কাজটি হচ্ছে, সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি গতিধারা শক্তিশালী রাখা। এসব করতে পারলে সব অর্জন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি সব করতে পারব।