বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | স্বাস্থ্যকথা » ৭৫টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৯৫ হাজার
৭৫টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৯৫ হাজার
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক:নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রভূমি চীনে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, চীনের বাইরে আক্রান্তের সঙ্গে মৃত্যু বাড়ছে আরও দ্রুত গতিতে।চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বুধবার দেশটির মূল ভূখণ্ডে আরও ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে। কিন্তু চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে আরও ৫২ জনের মৃত্যুর খবর।
ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জন হওয়ার পর সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে, ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজ্যে ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
জাপানে বুধবার এক দিনে সবচেয়ে বেশি নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে; দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ছয় হাজারের কাছাকাছি।
সব মিলিয়ে বিশ্বের ৭৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস, আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে প্রায় ৯৫ হাজারে।
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন স্পান বলছেন, চীনের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন বৈশ্বিক প্রাদৃর্ভাবের রূপ পেয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পাঁচ দিন আগে তাদের সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গেলেও এখনই বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব বা ‘গ্লোবাল প্যানডেমিক’ বলছে না।
তবে করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক বাড়তে থাকায় ফেইস মাস্ক, গ্লাভস আর প্রোটেকটিভ গাউনের মতো সুরক্ষা উপকরণের সঙ্কটের বিষয়ে সতর্ক করেছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস।
সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফ্লুর মত উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯। এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুহার ৩.৪ শতাংশ, যেখানে মৌসুমি ফ্লুতে মৃত্যুহার থাকে ১ শতাংশের নিচে।
নভেল করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
নভেল করোনাভাইরাস এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। আপাতত একমাত্র উপায় হল, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বা এ ভাইরাস বহন করছেন- তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।